নাতাশাকে শাড়ি পরিয়ে দিলেন বন্ধু, ফের আলোচনায় সাবেক হার্দিকপত্নী

প্রকাশিত: ৮:৪১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৮, ২০২৪

নাতাশাকে শাড়ি পরিয়ে দিলেন বন্ধু, ফের আলোচনায় সাবেক হার্দিকপত্নী

স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নিজ দেশ সার্বিয়ায় উড়ে গিয়েছিলেন মডেল নাতাশা স্তানকোভিচ।

 

কিন্তু কিছু দিন থাকার পর তিনি আবার কাজের জন্য ফিরে আসেন ভারতে। ইতোমধ্যে একটি মিউজিক ভিডিওর কাজ সেরে ফেলেছেন নাতাশা।

 

ভারতে তার সবসময়ের সঙ্গী হয়ে উঠেছেন শরীর চর্চার প্রশিক্ষক আলেকজান্ডার আলেক্স। কখনো শরীর চর্চাকেন্দ্র থেকে একসঙ্গে বেরোনোর সময়ে ফটোসাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়েন তারা, আবার কখনো সুইমিংপুলে একসঙ্গে জলকেলিতে মাতছেন, সে ছবিও দেখা যায় সামাজিক মাধ্যমে। এবার দেখা গেল পেটিকোট আর শাড়িতে। নাতাশা আর আলেক্স তারা নিজেদের খুব ভালো বন্ধু বলেই পরিচয় দেন। তাই এবার প্রিয় বান্ধবীকে ক্যামেরার সামনে শাড়ি পরিয়ে দিলেন আলেকজান্ডার আলেক্স।

 

এ মুহূর্তে নাতাশা ও আলেকজান্ডারের সম্পর্ক নিয়ে নেটিজেনদের মনে নানা প্রশ্ন। তবে কি নিজেদের খুব ভালো বন্ধু বলেই পরিচয় দেন তারা? এবার প্রিয় বান্ধবীকে ক্যামেরার সামনে শাড়ি পরিয়ে দিলেন আলেকজান্ডার। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরাও করছেন বিভিন্ন সমালোচনা।

 

শাড়ি পরানোর আগে নাতাশার পেটিকোটটিও নিজ হাতে সেলাই করে দিয়েছেন আলেকজান্ডার। তারপর নিজ হাতে নাতাশাকে পরিয়েছেন শাড়ি। যদিও শাড়ি পরানোর ধরন দেখে বোঝা যায়, আলেকজান্ডার নিজেও খুব একটা পটু নন। বান্ধবীকে শাড়ি পরানোর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন আলেকজান্ডার নিজেই। সেখানে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন—আমার এবার থেকে দর্জির কাজ ও শাড়ি পরানোর কাজ করা উচিত।

 

নেটিজেনদের কেউ কেউ এ ভিডিও দেখে নাতাশা ও আলেকজান্ডারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রশংসা করেছেন। আবার এক নেটিজেনের প্রশ্ন ছিল— আলেকজান্ডার কি নাতাশার দূর সম্পর্কের ভাই? সেই প্রশ্নের উত্তরেও দুজনেই মুখ খোলেননি।

 

আর এবার শাড়ি পরানোর ভিডিও দেখে নেটিজেনদের প্রশ্ন— আপনারা কি সম্পর্কে আছেন? আমি না সত্যিই বুঝে উঠতে পারছি না। সেই প্রশ্নের উত্তরেও চুপ তারা।

 

উল্লেখ্য, বিচ্ছেদ ঘোষণা করে নাতাশা ও হার্দিক লিখেছিলেন— চার বছর একসঙ্গে থাকার পর হার্দিক এবং আমি আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একসঙ্গে থাকার সব রকম চেষ্টা আমরা করেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা একসঙ্গেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আলাদা হওয়ার। এটিই আমাদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত। তবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই কঠিন ছিল। আমরা একটা পরিবার তৈরি করেছিলাম। একসঙ্গে বহু আনন্দের সময় কাটিয়েছি আমরা।