প্রকাশিত: ৫:০৪ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০২৩
নিউজ ডেস্ক : সিলেটে আয়োজিত ‘১১তম বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ সংলাপ’ শেষ হয়েছে। মহানগরের গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল এন্ড রিসোর্টে শনিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সংলাপের শেষ দিনে ‘সিলেট-শিলচর ফেস্টিভ্যাল’ শিরোনামে সমাপনী ও সাংস্কৃতিক পর্বের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন- বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের কারণে আলাদা হলেও নিজেদের শক্ত বন্ধন রয়েছে। ভারতের মানুষ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় রক্ত ঝরিয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষের পাশাপাশি ভারতের মানুষও যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। এ কারণে দুই দেশের মানুষের মধ্যে রক্তের বন্ধন রয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে বন্ধন শক্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারত দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার মাধ্যমে এগিয়ে চলছে মন্তব্য করে মন্ত্রী ইমরান আহমদ আরও বলেন, সব দেশই নিজেরা লাভবান হতে চায়, সব বিষয়েই। এমন ফেস্টিভ্যাল আয়োজনের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা থেকে শুরু করে সব বিষয়ে আরও শক্ত বন্ধন তৈরি হবে। ভালো উদ্দেশ্য থাকলে কোনো সমস্যা হয় না।
সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব তাসনিমা ইফফাতের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ ইন্ডিয়া চ্যাপ্টারের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট রাধা তমাল গোস্বামী, বাংলাদেশের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল। সমাপনী পর্বে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশনের ডিস্টিংগুইশ ফেলো রামি নিরঞ্জন দিশাই।
স্বাগত বক্তব্যে রাধা তমাল গোস্বামী বলেন, দুই দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মিল রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে এমন সংলাপের পাশাপাশি শিক্ষার বিষয় নিয়েও সম্মেলন আয়োজন করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সম্প্রীতির বন্ধন রয়েছে। দুই দেশের সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ়। দুই দেশই এ সম্পর্ক সামনে এগিয়ে নিতে চায়। এমন সম্মেলন যাতে নিয়মিত হয়, সে ব্যাপারে দুই দেশ যত্নবান হবে। এ সময় বক্তারা দুই দেশের বাসিন্দাদের মধ্যে সীমান্ত পারাপার কীভাবে সহজতর করা যায়, সেটি নিয়ে ভাবার কথা জানান।
তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক খাতের পাশাপাশি মানুষে মানুষে যোগাযোগ বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা হয়। দুই দেশের মধ্যে ফ্রেন্ডশিপ সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ ও ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন। এতে সহযোগিতা করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শনিবার শেষ দিনে সন্ধ্যায় আলোচনা পর্ব শেষে দুই দেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আয়োজন শেষ হয়।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest