যে কারণে ভেঙে গেল রাজ-পরীমনির সংসার

প্রকাশিত: ১২:৫৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩

যে কারণে ভেঙে গেল রাজ-পরীমনির সংসার

বিনোদন ডেস্ক : তারকাদের অভিনয় গুণের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও আগ্রহ থাকে দর্শকদের। বিয়ে, দাম্পত্য, সংসার— সব কিছুরই খোঁজ রাখেন ভক্তরা। আবার কখনো কখনো তারকারা অভিনয় জগত ঠিক রাখলেও দাম্পত্য জীবন ঠিক রাখতে পারেন না।

 

ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি ও নায়ক রাজের ক্ষেত্রে এমনটিই ঘটে গেল। বিয়ের পর থেকেই তাদের সম্পর্কটা যেদিকে যাচ্ছিল তাতে সহজেই অনুমেয় ছিল যে, খুব বেশি দূর একসঙ্গে পথ চলতে পারবেন না দুজন। মাঝখানে তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের কেউ কেউ দুজনের সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাতে সম্পর্কের তলানিতে প্রলেপই লেগেছে, ভাঙন ঠেকানোর জন্য সেই প্রচেষ্টা যথেষ্ট ছিল না।

 

শেষ পর্যন্ত সোমবার রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিলেন পরীমনি। রাজের সঙ্গে সম্পর্কের যবানিকাপাত যে পরী টানতে চাচ্ছিলেন, সেটি আগেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল।

 

রাজ-পরীমনির পরিবারের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, একটা সম্পর্ক টেকসই হওয়ার জন্য যে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস দরকার, সেটি তাদের ক্ষেত্রে ছিল না। সন্দেহপ্রবণতা ও কমিটমেন্টের অভাব ছিল লক্ষণীয়। এ কারণেই মূলত তাদের বন্ধন আলগা হয়ে গেল।
রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের কারণ হিসাবে মনের অমিল হওয়া, বনিবনা না হওয়া, খোঁজখবর না নেওয়া, মানসিক অশান্তির কথা উল্লেখ্য করেছেন পরীমনি।

 

ইতিপূর্বে রাজ-পরী দম্পতি বেশ কয়েক দফায় অভিমান ভুলে এক হলেও বেশ কিছু দিন ধরে তাদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না।

 

চলতি বছর মে মাসে অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল, তানজিন তিশা ও নাজিফা তুষির সঙ্গে শরিফুল রাজের বেশ কিছু আপত্তিকর ভিডিও ও স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর পর থেকে পরীমনির সঙ্গে দাম্পত্যকলহ শুরু হয় রাজের। ওই ঘটনার পর থেকে তারা আলাদা থাকছেন।

 

তবে ছেলে রাজ্যের জন্মদিনে তাদের একসঙ্গে দেখা গেছে। পরীমনির বাসায়ও এসেছিলেন রাজ। পরে আবার বেরিয়ে গেছেন।

 

বিভিন্ন সময় পরীমনি অভিযোগ করে আসছেন যে, রাজ অগোছালো, সংসারের প্রতি তার কোনো প্রতিজ্ঞা নেই। পরীমনির প্রতি তার আলাদা কোনো টানও নেই। আর রাজের ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, পরীমনির জীবনটাই হেয়ালিতে ভরা।

 

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি হলুদ অনুষ্ঠানের পর দিন ২২ জানুয়ারি রাতে জমকালো আয়োজনে ১০১ টাকা দেনমোহরে শরিফুল রাজ-পরীমনির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়। অতিথির তালিকায় ছিলেন তিন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, চয়নিকা চৌধুরী ও রেদওয়ান রনি। সঙ্গে দুই পরিবারের স্বজনরা।

 

২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পরীমনির। সে বছর ‘রানা প্লাজা’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। পরীমনি অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ভালোবাসব তোমায়’, ‘মহুয়া সুন্দরী’, ‘রক্ত’ ও ‘স্বপ্নজাল’।