প্রকাশিত: ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫
নিউজ ডেস্ক : ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের মতো বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়েও সিলেটবাসী বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় নগরীর কুমারপাড়াস্থ নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন তিনি।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাজ আটকে আছে অভিযোগ করে তিনি জেলা প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন রাখেন, কোন কারণে জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে না? ১৭ বছরেও যাচাই-বাছাই শেষ হচ্ছে না কেন? কেন এত বিলম্ব তা জনগণের সামনে প্রকাশ করা হোক। আর সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছে আমার জিজ্ঞাসা, ঢাকা থেকে সিলেটে আসার সড়ক লালাবাজার এসে কেন জাফলংয়ের দিকে চলে যায়? লালাবাজার থেকে হুমায়ুন রশিদ চত্বর পর্যন্ত সড়ক এক্সটেনশন করে রিভার্স করা হোক। তাতে যানজট কমবে।
তিনি বলেন, আম্বরখানা-বিমানবন্দর সড়ক কখনো আমাদের বলা হয়েছে ছয় লেন, আবার কখনো বলা হয়েছে চার লেন। আমার কাছে যে তথ্য আছে তাতে দেখা যায়, প্রকল্পটি একনেকে প্রেরণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য এটি মাঠ পর্যায়ে প্রেরণ করা হয়। এর মানে প্রকল্পটি যেন অর্থবছর থেকে বাদ পড়ে যায় সেজন্য কখনো মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়, কখনো একনেকে পাঠানো হয়, কখনো মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ১৭ বছরেও কেন এই যাচাই-বাছাই শেষ হচ্ছে না? বাংলাদেশের সব জায়গায় বিমানবন্দরের সড়ক ছয় লেন, চার লেন হয়ে গেছে। শুধু সিলেট এখনো বঞ্চিত। আমার দাবি হলো অনতিবিলম্বে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রকল্পে ১৭টি এলএ প্রস্তাব রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে, ৬টি নোটিশ করা হয়েছে। ১১টি হতে পারলে বাকি ৬টির জন্য আর কত বছর লাগবে? এছাড়া সিলেট-তামাবিল প্রকল্পে ৩০টি এলএ প্রস্তাব রয়েছে। এর মধ্যে মন্ত্রণালয়ে ৭টির প্রস্তাব করা হলেও ৩টির চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। কোনো নোটিশ প্রদান করা হয়নি। আমরা কি এই অবস্থার মধ্যে থাকবো?
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র প্রদানে বিলম্বের কারণে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে না, ফলে দিন দিন নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ প্রতিবছর জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। লাক্কাতুড়া থেকে বিমানবন্দর সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এবং সিলেট-সুতারকান্দি সড়ক প্রকল্পের ছাড়পত্র এখনো দেয়নি পরিবেশ অধিদপ্তর। জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের পূর্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র প্রদান সহজিকরণের নির্দেশনা প্রদানের জন্য আমি দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বর্ষাকাল আসছে। সিলেটে সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা, বিদ্যমান সড়কসমূহ রক্ষায় পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ, প্রয়োজনীয় বাজেট প্রদান এবং সমন্বয় সাধন করতে হবে। সিলেট ভূমিকম্পপ্রবণ ও বন্যাকবলিত এলাকা। বন্যা আসার পরে আমরা নড়াচড়া করি। কিন্তু বন্যা থেকে বাঁচার জন্য যা করা প্রয়োজন সেখানে আমরা খুব একটা খেয়াল রাখি না। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে নিয়মিত বন্যা দেখা দেয়। আগামী বর্ষা মৌসুমেও বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে। এ ব্যাপারে এখনই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
সাবেক মেয়র বলেন, সিলেট পর্যটনসমৃদ্ধ জেলা। কিন্তু এখানকার সড়কগুলো মোটেও মানসম্মত নয়। ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর থেকে পাহাড় ঘেঁষে তামাবিল, জাফলং পর্যন্ত একটি পর্যটন সড়ক করা হলে পর্যটক বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেত। কিন্তু এ ব্যাপারে আজ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
আরিফ বলেন, সিলেট প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা। আমরা দেখছি এখানে একেক বিমানের ভাড়া একেক রকম। এই বৈষম্য কেন? একই দেশে তো দুই নীতি হতে পারে না। এ কারণে সিলেট-ঢাকা রুটে চলাচলকারী প্রবাসীদের বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে। অনতিবিলম্বে এসব পরিহার করতে হবে। না হলে আমরা দুর্বার আন্দোলনে যাবো।
সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বরাবরে আমি একটি আবেদন দিয়েছিলাম। আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি গত ৩০ অক্টোবর বিউবোর সচিব ও চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে লিখলেন- প্রতিবেদনসহ উপস্থাপন করুন। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই প্রতিবেদনের কোনো খবর নেই।




অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
প্রধান উপদেষ্টা : আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন
পরিচালক, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠাতা, আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন সমাজ কল্যাণ ট্রাস্ট।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
Design and developed by Web Nest