৩৬ বছর পর পরিচয় পেল ২২৫ ছাত্রলীগ কর্মী!

প্রকাশিত: ৬:৫৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০২৪

৩৬ বছর পর পরিচয় পেল ২২৫ ছাত্রলীগ কর্মী!

নিউজ ডেস্ক : জেলা কিংবা মহানগর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠন গুলোর রাজনীতি যে কয়েকটি উপজেলা থেকে সবচেয়ে বেশি সংগঠিত হয় সেগুলোর একটি বিয়ানীবাজার উপজেলা। তবে নানা হিসেব নিকেশের জটিল সমিকরণে ১৯৮৮ সালের পর বিয়ানীবাজার উপজেলায় একাধিকবার কমিটি গঠন হলেও সেই কমিটি আর আলোর মুখ দেখেনি প্রায় ৩৬ বছর পর সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজের হাত ধরে পরিচয় পেল উপজেলা, কলেজ ও পৌর ছাত্রলীগের ২২৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী।

 

সোমবার জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিয়ানীবাজার উপজেলার ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে সভাপতি পদে জুয়েল আহমেদ শিপু ও সাধারণ সম্পাদক জায়দুল হক তাহমিদ ঘোষণা করায় এবং পৌর ছাত্রলীগের ৭১ বিশিষ্ট কমিটিতে আশরাফুল আলম সাকেলকে সভাপতি ও রেদোয়ান আহমদকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয় এছাড়াও বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে ৭২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে কামরুল ইসলামকে সভাপতি ও রাসেল রহমান রুমিকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

 

দীর্ঘ দিন পর উপজেলাটিতে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করার পর শহর জুড়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়। আনন্দ মিছিল সহ শহরের বিভিন্ন মোরে মোরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মিষ্টি মুখ করতে দেখা যায়। এ বিষয়ে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহবুব হোসেন জুয়েল বলেন, আমরা যখন ছাত্র রাজনীতি করেছি তখন উপজেলা পর্যায় হাজার হাজার নেতাকর্মী তাদের পরিচয় পায়নি আজ নাজমুল রাহেলের বিচক্ষণতায় দুইশতাধিক ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয় পেয়েছে যেটা আমাদের জন্য আনন্দের।

 

সিলেট জেলা ছাত্রলীগ নেতা কাওসার আহমদ বলেন, ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের পরিচয় পেয়েছে এর চেয়ে বড় স্বার্থকতা আর কি হতে পারে। অনেক ষড়যন্ত্রের পর কমিটিকে আটকাতে পারেনি কিছু ষড়যন্ত্রকারীরা।

 

উল্লেখ্য- ১৯৯১ সালে আব্দুল বারি আহবায়ক ও দেলোয়ার হোসেনকে যুগ্ম আহবায়ক করে বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের ঘোষিত কমিটি টানা তিন বছর দায়িত্ব পালন করলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। পরবর্তীদের ১৯৯৩ সালে যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন ইংল্যান্ড পাড়ি জমালে তখন আহবায়ক কমিটি পূর্ণগঠন করা হয়। পূর্ণ ঘটিত কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক হিসাবে স্থান পান আব্দুল কুদ্দুছ টিটু, ইকবাল হোসেন ও মাহমুদ হোসেন। দীর্ঘ সাত বছরে নানা জটিলতার কারণে আহবায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রূপ পায়নি। পরে দেওয়ান মাকসুদুল ইসলামকে আহবায়ক ও ফারুকুল হক এবং আব্বাছ উদ্দিনকে যুগ্ম আহবায়ক করে ২০০০ সালে ঘোষণা করা হয় আহবায়ক কমিটি। ছাত্রলীগ রিভারবেল্ট ও প্রপার গ্রুপের দায়িত্বশীলরা দীর্ঘ আলোচনা পরও নানা কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি পায়নি উপজেলা ছাত্রলীগ। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে আবুল কাশেম পল্লবকে সভাপতি ও জাকির হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বশীলরা কমিটি ঘোষণা করেন। এর এক বছর পর পুনরায় আহবায়র কমিটি গঠন করা হয়। ২০০৪ সালে জামাল হোসেনকে আহবায়ক এবং আবুল কাশেম পল্লব ও জাকির হোসেনকে যুগ্ম আহবায়ক করে ঘটিত কমিটি পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রূপ লাভ করেনি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন