হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জে চা ল্যকর স্কুল ছাত্রী মদিনাতুল কুবরা জেরিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত।

হবিগঞ্জে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এসএসসি পরীক্ষার্থী মদিনাতুল কুবরা জেরিনকে হত্যার দায়ে দুই যুবককে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ বিচারক সুদীপ্ত দাস এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদন্ড পাওয়া আসামীরা হলেন, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধল গ্রামের দিদার হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন (২৪) ও পাটুলী গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে নূর আলম (২২)।

রায় ঘোষণার সময় জাকিরকে কারাগার থেকে এনে আদালতে উপস্থিত করা হয়। এছাড়া অন্য আসামী নূর আলম পলাতক রয়েছেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ পেশকার পার্থ প্রতীম সেন।

তিনি জানান, দুই আসামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড ও দেড় লাখ টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এরপর আদালতে উপস্থিত আসামী জাকিরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

হত্যাকান্ডের শিকার মদিনাতুল কুবরা জেরিন ওই গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে ও রিচি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। জেএসসিতে জিপি-৫ পাওয়া ওই ছাত্রী দশম শ্রেণির মেধাতালিকায় প্রথম ছিল।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৮ জানুয়ারি নূর আলমের সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল জেরিন। পথে অটোরিকশায় ওঠেন জাকিরকে। পরে স্কুলের সামনে মেয়েটিকে নামিয়ে না দেওয়ায় সে ধস্তাধস্তি শুরু করে। এক পর্যায়ে গাড়ি থেকে পড়ে মাথায় আঘাত পায় এবং পরদিন হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।

এ ঘটনায় জেরিনের বাবা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জাকির প্রায়ই মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন এবং তা প্রত্যাখ্যান করায় হত্যা করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জাকির লেখাপড়া শেষ করে বেকার এবং নূর আলম সিএনজি অটোরিকশা চালক ছিলেন।