ডিসি-জনপ্রতিনিধি একসঙ্গে কাজ করতে হবে : মন্ত্রী

প্রকাশিত: ১২:৪৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩

ডিসি-জনপ্রতিনিধি একসঙ্গে কাজ করতে হবে : মন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক : জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জনপ্রতিনিধিদের পরিষ্কারভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

 

তিনি বলেন, ডিসিদের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের কোনো সমন্বয়হীনতা না থাকলেও ধারণাগত দ্বন্দ্ব হয়।

 

সেটা আবার সময়মতো ঠিক করেও নেওয়া হয়।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের সপ্তম অধিবেশনে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর উত্তরোত্তর জাতীয় লক্ষ‌্যমাত্রা পূরণ করার জন‌্য ও অবদান রাখার জন‌্য আমরা কাজ করছি। জেলা প্রশাসকদের সেখানে সমন্বয় করা দরকার, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান উভয়ের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেই নির্দেশনাটা পরিষ্কাভাবে দেওয়া আছে।

 

উপজেলায় যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হয় সেগুলো যাতে উপজেলা পরিষদের অধীনে বাস্তবায়ন হয়। এ বিষয়ে ডিসিরা লিখিত প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই বিষয়ে আপনারা একমত পোষণ করেছেন কিনা জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা একমত পোষণ করি। এখানে কোনো দ্বন্দ্ব আছে বলে আমার জানা নেই। উপজেলা পরিষদে তো সবকিছু আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত হয়। এটা যারা বলছেন আমরা মনে হয়, তারা এটা না জেনে বলছেন।

 

জেলা প্রশাসকরা জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো সমন্বয়হীনতার কথা বলেননি জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল বলেন, তবে দুটি প্রতিষ্ঠান দুজন ব‌্যক্তি যখন একই কাজ লক্ষ‌্যমাত্রায় পৌঁছানোর জন‌্য করে, করতে গিয়ে দেখা যায় কখনও কখনও তাদের মধ‌্যে ধারণাগত দ্বন্দ্ব হয়। সেটা আবার সময়মতো ঠিক করেও নেওয়া হয়। এটা যুক্তরাষ্ট্রেও হয়। এটা দ্বন্দ্ব নয়, এটা ধারণাগত পার্থক‌্য।

 

ডেঙ্গু এখন সারাদেশের সমস‌্যা। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে মশা নিধন কার্যক্রম ততটা জোরালো নয়। এ বিষয়ে ডিসিদের প্রতি কোনো নির্দেশনা ছিল কিনা জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু শুধু বাংলাদেশের সমস‌্যা নয়, সারা পৃথিবীর সমস‌্যা। বিশ্ব স্বাস্থ‌্য সংস্থার তথ‌্য অনুযায়ী, প্রতি বছর মশাবাহিত রোগে সাত লাখ মানুষ মারা যায়।

 

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার এবার কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে সফলতা অর্জন করতে পারেনি স্বীকার করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল বলেন, আমরা যদি সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, থাইল‌্যান্ড ও ভারতের দিকে তাকাই তখন দেখা যাবে আমরা ভালো করেছি। আমরা এটা নিয়ে এখনও কাজ করছি।

 

তিনি বলেন, আগে ডেঙ্গু শুধু ঢাকায়ই ছিল, এখন সেটা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কার্যক্রম নেওয়ার জন‌্য সমন্বিত ভেক্টর ম‌্যানেজমেন্ট নীতিমালার খসড়া করেছি। এটা আমরা তাদের (ডিসি) দেবো। বিদেশ থেকে গবেষণার মাধ‌্যমে ভেক্টরকে কীভাবে ম‌্যানেজ করা সম্ভব সেই তথ‌্য উপাত্ত সংগ্রহ করছি।

 

বলা হচ্ছে গ্রামে-গঞ্জে অনেক অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা হচ্ছে এ বিষয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, অপ্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ দুঃখজনক। কোথাও কোথাও কিছু কিছু হয়নি, এটা আমি বলতে পারব না। যেখানে অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা হয়েছে, সেটার জন‌্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। ভবিষ‌্যতে কোনো অপ্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ হবে, এটা আমরা আশা করতে পারি না। আমাদের পক্ষ থেকে যেসব সতর্কতা নেওয়া দরকার আমরা নিচ্ছি। উপজেলা পর্যায়ে মাস্টারপ্ল‌্যান হচ্ছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

সিলেট সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪

সিলেট সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪