অনলাইন ডেস্ক : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ৭ জানুয়ারি ২০২৪ ইং আওয়ামীলীগের পাতানো নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে বিরোধী দল মত দমনের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় ঠিকে থাকার জন্য সারাদেশে গণহারে নিরীহ মানুষজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । বিগত ১৫ বছর শেখ হাসিনা দেশের সকল স্তরে তাহার লোকজন বসিয়ে আজিবন ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখত । কিন্তু ২০২৪ এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে তার পতন হয়। শেখ হাসিনার একতরফা ভোটে জয়ী হওয়ার জন্য মিথ্যা মামলায় অসংখ্য বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী গ্রেফতার করে। তারই মিথ্যা মামলায় জর্জরিত ইংল্যান্ড প্রবাসী বিশ্বনাথের যুবক মোঃ নুরুল ইসলাম । এই ঘটনায় তার পরিবার স্থানীয় প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও পুলিশের সদর দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন এবং নুরুল ইসলামের নামে করা ২ টি মামলা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন।

নুরুল ইসলাম এর মাতা শিবলী বেগম জানান, তার ছেলে ২১ আগষ্ট ২০২২ সালে একরকম চাপে পড়ে দেশ ত্যাগ করে গোপনে লন্ডনে চলে যান। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি তাকে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার শুধুমাত্র বিরোধী দলীয় রাজনীতি বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির করার কারনে কোনরকম অন্যায় কাজে সম্পৃক্ত না থাকার পর ও মামলা দিয়ে হয়রানী করিতেছে । পুলিশের দায়ের করা বিশ্বনাথ জি আর ০৮/২০২৪ ইং যার থানার মামলা নং ০৮ তাং ০৬/০১/২৪ ইং। যাহা ১৯৭৪ ইং সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫বি ও ২৫ ডি তৎসহ ১৯০৮ ইং সনের বিস্ফোরক আইনের ৩/৪ ধারা। উক্ত মামলার ঘটনায় নাকি সে সরকারের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল অথচ এই সময়ে সে বিদেশে ছিল।

এরপর তিনি আরো বলেন, তার কয়েকদিন পর নুরুল ইসলাম দেশের বাইরে থাকলে ও ২০২৪ এর জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ফেসবুকে ছাত্রদের আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। একসময় স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে বাংলাদেশের অন্য বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি দেশের সব কিছু দখল করে নেয়। যার ফলে বিএনপি দলের বিভিন্ন রকম দুর্নীতি অনিয়ম চাদাবাজি টেন্ডারবাজি মানুষ খুন এর বিরুদ্ধে সে অনলাইনে ব্যাপক লেখালেখি করত । এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে পোস্ট করায় তাকে টার্গেট করা হয়।

এছাড়া তিনি বলেন পূর্বে আওয়ামীলীগ আমার বাড়িতে হামলা চালাত এখন ক্ষমতা পরিবর্তন এর পর বিএনপি নেতাকর্মীরা বাড়িতে এসে হুমকি দেয় যে ফেসবুকে তর ছেলেকে বলবি এসব লেখালেখি না করতে না হলে সমস্যা হবে। পরবর্তীতে জানতে পারি বিএনপির এক নেতা বাদী হয়ে আদালতে তার নামে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যাহা বিশ্বনাথ সি আর মামলা নং ১৪২/২৪ তারিখ ১৭/০৮/২০২৪ ইং। উক্ত মামলায় বিশ্বনাথ থানার এসআই পংকজ ঘোষ তদন্ত করতে আমার বাড়িতে এসে আমার কাছে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমার ছেলে নুরুল ইসলামকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আসামী করে তদন্ত করে রিপোর্ট আদালতে দিয়ে দেয়। ফলে আমার ছেলের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হয়ে যায় এবং বাড়িতে পুলিশ খুজতে আসে।

তিনি আরও জানান, তার ছেলে কখনো কোনো সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন না, এমনকি মামলার সময় দেশে ছিলেন না। আমি ও আমার পরিবার বৈষম্যের স্বীকার আমি ন্যায় বিচার চাই।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার বলেন, নিরপরাধ কাউকে হয়রানির সুযোগ নেই। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রকৃত তদন্তের মাধ্যমে একজন প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে মিথ্যা মামলার কালো ছায়া থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নুরুল ইসলামের গ্রামবাসী।