নিউজ ডেস্ক : সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন কাভারের জন্য নির্বাচন কমিশনের ইস্যুকৃত পাসকার্ড নিয়ে যাচ্ছেতাই কাণ্ড চলছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দেয়া কথা রাখা হয়নি। বরং পাসকার্ড নিয়ে নির্বাচন অফিসে যা চলছে তাকে কোন বিশেষণ দিয়ে অভিহিত করার মতো নয়। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ অনেক পেশাদার সাংবাদিক।

গত ১০জুন সিলেট এসেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। প্রার্থীদের সাথে সেদিন জালালাবাদ গ্যাস অডিটোরিয়ামে মতবিনিময় করেছিলেন। বলেছিলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষনের ক্ষেত্রে ভুঁইফোঁড় ফেসবুক পেজ ও অনিবন্ধিত নিউজপোর্টালকে কোনো ধরনের পাসকার্ড দেয়া হবে না।সেক্ষেত্রে যাচাই বাছাই করে পাসকার্ড দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।সিইসির সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে মূলধারার সাংবাদিকদের কার্ড না দিয়ে ভুঁইফোঁড় ফেসবুক পেজ ও অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজপোর্টালের জন্য শতাধিক পাস কার্ড দিয়েছে।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকরা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে কিছু ক্ষেত্রে কার্ড দেয়া শুরু করে ইসি। বুধবার সকাল আটটা থেকে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ভোট নেয়া হবে।মেয়র পদে দেশের প্রধান দুই দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ ৭জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য গণমাধ্যমের পাঁচ শতাধিক সাংবাদিক ইসির পরিচয়পত্র নিতে আবেদন করেছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে সংবাদপত্র, টিভি, অনলাইন গণমাধ্যমের কর্মী ইসির পরিচয়পত্রের জন্য সেখানে জড়ো হন। কিন্তু রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তাদের অধিকাংশই ছিলেন অনিশ্চয়তায়।

এ ব্যাপারে সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল কাদেরের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাত ১১টার পর পাসকার্ড দেয়া হবে।

কিন্তু তাঁর বক্তব্যের পরপরই দেখা যায় ফটোকপি করা কাগজে পাসকার্ড উল্লেখ করে ভুঁইফোঁড় ফেসবুক পেজকে কার্ড দেয়া হচ্ছে।

দেখা গেছে, সিলেট প্রেস, গ্লোবাল প্লাস, প্রাইম সিলেট,টাইমস অব সিলেট,বাংলা টাইম এন্ড টিউন,সিলেটের ম্যাগাজিন ইত্যাদিসহ আরও অনেক নাম সর্বস্ব ফেসবুক পেজ ও চ্যানেলকে কার্ড ইস্যু করা হলেও পেশাদার অনেক প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিক বা সংবাদ কর্মীরা পাসকার্ড পাান নি। তারা পাবেন কি না, রাত ১১টা পর্যন্ত তা জানারও কোন উপায় ছিলনা।