জীবন থেকে সমস্যা মুছে ফেলতে চান নাতাশা

প্রকাশিত: ৯:১০ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২৪

জীবন থেকে সমস্যা মুছে ফেলতে চান নাতাশা

স্পোর্টস ডেস্ক : ২০২০ সালের ৩১ মে বিয়ে করেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া ও নাতাশা স্ট্যানকোভিচ। সেই বছরের ৩০ জুলাই তাদের প্রথম সন্তান আসে। ছেলে অগস্ত্যকে স্বাগত জানান এ দম্পতি। এরপর ২০২৩ সালে দুজনে সামাজিক বিয়ে করেন উদয়পুরে। খ্রিস্টান আর হিন্দু নিয়মকানুন মেনে তাদের বিয়ে হয়।

 

আইপিএল ২০২৪ সালে হার্দিকের পারফরম্যান্সের জন্য ট্রলড হয়েছিলেন নাতাশা। হার্দিক মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে নাতাশার ইনস্টাগ্রাম পোস্টের কমেন্ট সেকশনে তার বিরুদ্ধে অপমান ও অবমাননাকর মন্তব্যের বন্যা বয়ে যায়।

 

আইপিএলের পর থেকেই নাতাশা ও হার্দিক পান্ডিয়ার বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন তুঙ্গে। হার্দিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মধ্যেই নাতাশার নতুন ভিডিও ঘিরে নেটিজেনদের মাঝে হইচই। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নাতাশা মানুষের জীবন থেকে ‘সমস্যা’ দূর করার কথা বলেছেন তিনি।

 

বিশ্বকাপের আসরেও হার্দিকের পাশে দেখা যায়নি নাতাশাকে। এমনকি দেশে ফেরার পরও হার্দিকের পাশে নাতাশার অনুপস্থিতি চোখে পড়ে। বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরে ছেলে অগস্ত্যর সঙ্গে খুনসুটি করতে দেখা গিয়েছিল হার্দিককে, সেখানেও নাতাশা ছিল না। এরই মাঝে নাতাশার নতুন ভিডিও পোস্টে নেটিজেনদের মাঝে সমালোচনার শুরু হয়েছে।

 

ভিডিওতে নাতাশাকে কালো পোশাকে দেখা গেছে। তিনি বলেন, ‘একটা কথা তোমাদের আমি আবারও মনে করাতে চাই— ভগবান লোহিত সাগরকে সরাতে পারেননি। দুভাগে ভাগ করে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ তিনি তোমার সমস্যাগুলো শেষ করে দেবেন না। তিনি শুধু পথ দেখিয়ে দেবেন। এ কথার অর্থ— দাম্পত্য নিয়ে আবারও বড় ইঙ্গিত নাতাশার। এর আগে গত শনিবার ইনস্টাগ্রামে ছেলের একগুচ্ছ ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন নাতাশা। সামাজিকমাধ্যমে খুব সক্রিয় তিনি। জিমে ঘাম ঝরানো থেকে ছেলে অগস্ত্যর সঙ্গেও সময় কাটানোর মুহূর্ত তুলে ধরেন তিনি। ছবির ক্যাপশনে নাতাশা লিখেছেন— ‘কৃতজ্ঞতায় বেঁচে থাকা’।

 

নাতাশা ও হার্দিকের বিবাহবিচ্ছেদের গুজব কয়েক সপ্তাহ আগে অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছিল। এ গুজবে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি এ জুটি। এর মাঝে নিজের ইনস্টাগ্রাম থেকে হার্দিকের সঙ্গে বিয়ের ছবি মুছে ফেলেছেন নাতাশা। পরে অবশ্য সেই ছবি ফিরে আসে তার ইনস্টাগ্রামের দেয়ালে।

 

এদিকে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা নিশ্চিত করে ভারত। এ জয়ের নায়ক ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। জয়ের সমীকরণে নির্দ্বিধায় বলা যায়, হার্দিক পান্ডিয়ার শেষ ওভারের বোলিংয়ের সুবাধেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত। ম্যাচশেষে হার্দিক পান্ডিয়ার আনন্দের সেই চোখের জলেও স্ত্রী নাতাশার কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ভারতের জয় নিয়েও কোনো পোস্ট আসেনি। কোথাও ছিলেন না তিনি।

 

এদিকে ভাইয়ের সমালোচনায় ক্রুনাল পান্ডিয়া ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করে ইমোশনাল লেখা লেখেন। ভাইয়ের পাশে দাঁড়িয়ে ক্রুণাল জানিয়েছেন— হার্দিকও মানুষ। তারও আবেগ রয়েছে। খারাপ তারও লাগে। আমি আর হার্দিক পেশাদার ক্রিকেট শুরু করার পর এক দশক কেটে গেছে। কিন্তু গত কয়েকটা দিন রূপকথার মতো কাটল। দেশবাসীর মতো আমিও দলের কৃতিত্বে খুব খুশি। তবে আমার ভাইয়ের সাফল্য দেখে আবেগ আরও বেড়ে গেছে।

 

তিনি আরও বলেন, গত ছয় মাস হার্দিকের কঠিন সময় গেছে। ওকে নিয়ে যা হয়েছে তার কোনোটাই ওর প্রাপ্য ছিল না। ভাই হিসাবে ওর জন্য খুব খুব খারাপ লাগছে। ক্রুণাল বলেন, তাকে ব্যঙ্গাত্মক শিস দেওয়া থেকে শুরু করে লোকে প্রচুর খারাপ কথা বলেছে। দিনের শেষে আমরা ভুলে গিয়েছিলাম ও একজন মানুষ, যার আবেগ রয়েছে।

 

বিশ্বকাপে ভাইয়ের পারফরম্যান্স নিয়ে আপ্লুত ক্রুণাল বলেন, হাসতে হাসতে সব বাধা পেরিয়ে এসেছে ও। কত কষ্ট করে হাসত, সেটি শুধু আমিই জানি। কঠোর পরিশ্রম করেছে এবং বিশ্বকাপে ভালো খেলতে গেলে যা যা করা দরকার, সেটি করেছে। ভারতীয় দলের দীর্ঘ দিনের স্বপ্নপূরণ করেছে সে। এর থেকে ভালো আর কিছুই হয় না। এই পোস্ট পড়ে মন ভারাক্রান্ত হয়েছে অনেকেরই। আর সেই পোস্টেই রিঅ্যাক্ট করেছেন হার্দিকপত্নী নাতাশা। ক্রুনালের এই পোস্টে প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষ লাইক করেছেন। আর এদের মধ্যে আছেন হার্দিক ও তার স্ত্রী নাতাশা। প্রসঙ্গত বিশ্বকাপ জেতার পর হার্দিককে নিয়ে কোনো পোস্টে রিঅ্যাক্ট করলেন নাতাশা।

 

ভাইয়ের পোস্টে উত্তর দিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি লিখেছেন, ‘অনেক ভালোবাসি তোমায় ভাইকে। তুমিই হচ্ছ আমার শক্তির ভিত্তি। তোমায় ছাড়া কিছুই সম্ভব হতো না।’ ক্রুনাল পান্ডিয়ার স্ত্রীও এই পোস্টে মন্তব্য করেছেন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস