জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ভানুয়াতুর ইতিহাস

প্রকাশিত: ৭:০০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ভানুয়াতুর ইতিহাস

স্পোর্টস ডেস্ক : ৩ লাখের কিছুটা বেশি জনসংখ্যার দেশ ভানুয়াতু। এবারই প্রথম মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে খেলতে এসেছে।

 

যে কীর্তি গড়তে পারেনি ছেলেরাও। আর প্রথমবার খেলতে নেমেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছে ভানুয়াতুর মেয়েরা। গতকাল দিবা-রাত্রির ম্যাচে জিম্বাবুয়ে নারী দলকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে। আইসিসির পূর্ণ সদস্যের দলের বিপক্ষে এটিই ছিল তাদের প্রথম।

 

বিশ্বকাপ বাছাই খেলতে আসার আগে ক্রিকেটীয় সরঞ্জাম কিনতেই হিমশিম খায় ভানুয়াতু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। সেজন্য জনগণের কাছ থেকে অনুদানের দাবি জানায় তারা। সেখান থেকে আসে প্রায় ৭ লাখ টাকা। সেটাকে পুঁজি করেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পা রাখে তারা।

 

আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩.৩ ওভারে মাত্র ৬১ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। তাদের এই ব্যাটিং ধসের নেপথ্যে ভূমিকা রাখেন নাসিমানা নাভাইকা। এই লেগ স্পিনার ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে শিকার করেন ৪ উইকেট। এছাড়া ভানেসা ভিরা তিনটি, র‍্যাচেল অ্যান্ড্রু দুটি ও ভিকি মানসালে নেন এক উইকেট।

 

তাড়া করতে নেমে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য ২১ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় ভানুয়াতু। দারুণ বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়ে ৩৬ বলে ২১ রান করে ম্যাচসেরা হন নাভাইকা।

 

গত বছরের সেপ্টেম্বরে আঞ্চলিক বাছাইপর্বের আগে ভানুয়াতুর কোচের দায়িত্ব নেন জশুয়া রাসু। যিনি নিজেই আবার ভানুয়াতু পুরুষ দলের অধিনায়ক। মেয়েদের এই সাফল্যে ৩০ বছর বয়সী কোচ বলেন, ‘বাছাইপর্বের অভিষেকে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হওয়াটা ভয়ানক মনে হয়েছিল। তবে এই জয় তাদের নিবেদন ও দক্ষতার কথা বলে। এমন পারফরম্যান্সের সাক্ষী হওয়াটা সম্মানের, বিশেষ করে একটি নতুন ও আন্ডারডগ দল হিসেবে। এই দলটি একটি শক্ত-সমৃদ্ধ পরিবার, যারা একে অপরের জন্য লড়াই করতে ইচ্ছুক। ‘

 

র‍্যাংকিংয়ের ৩০ নম্বর দলটিকে নিয়ে রাসু আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে কোচ ছাড়াই এই মেয়েরা প্রশিক্ষণ নেয়, সেলিনার দৃঢ়তা ওপর আস্থা রেখেছে নিজেদের এই খেলায় মনোযোগী রাখে। প্রতিটি অনুশীলনে তাদের নিবেদন ছিল চোখে পড়ার মতো এবং কোচ হিসেবে যোগ দেওয়ার তাদের জেতার উদ্দীপনা দেখে আমি নিজেই অনুপ্রাণিত হয়েছি। ‘

 

‘আমি প্রত্যেকের প্রতিই মুগ্ধ হয়েছি এবং তাদের দক্ষতাকে শাণিত করতে কাজ করেছি। র‍্যাংকিংয়ের ১১ নম্বর দল পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে আঞ্চলিক বাছাই জেতাটা ছিল টার্নিং পয়েন্ট। এরপর মানসিক ও শারীরিকভাবে নিজেদের আরও বিকশিত করেছে, দেশের অসাধারণ বার্তাবাহক হয়ে উঠেছে তারা। ‘