রনির ৭ উইকেট, ৪০ রানে অলআউট গাজী টায়ার্স

প্রকাশিত: ১:০৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০২৪

রনির ৭ উইকেট, ৪০ রানে অলআউট গাজী টায়ার্স

স্পোর্টস ডেস্ক : ১২ ওভারেই শেষ ইনিংস, দলের রান কেবল ৪০! ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে ঘটেছে এমন ঘটনাই। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব গুঁড়িয়ে দিয়েছে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমিকে।

৭ উইকেট নিয়ে ওই ধস নামিয়েছেন আবু হায়দার রনি।

 

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আজ গাজী টায়ার্সকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান। শুরুতে ব্যাট করে ৪০ রানে অলআউট হয় গাজী টায়ার্স। ওই রান ৬ ওভার ২ বলেই টপকে গেছে মোহামেডান। ৬ ওভারে ১ মেডেনসহ ২০ রান দিয়ে সাত উইকেট নিয়েছেন আবু হায়দার রনি।

 

শুরুতে ব্যাট করতে নামা গাজী টায়ার্সের বিপক্ষে দুজন বোলারের বেশি বল করতে হয়নি মোহামেডানের। রনি ছাড়া বল করেছেন কেবল নাসুম আহমেদ। ৬ ওভারে ১ মেডেনসহ ২০ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন তিন উইকেট। গাজী গ্রুপের হয়ে ১৮ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন ইফতেখার সাজ্জাদ। এর বাইরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ রান করে করেছিলেন মোহাব্বত হোসেন ও হাফিজুর রহমান।

রান তাড়ায় নেমে একটি উইকেট হারাতে হয় মোহামেডানকে। ১২ বলে ১২ রান করে আরিদুল ইসলাম আকাশের বলে বোল্ড হয়ে যান রনি তালুকদার। তবে ৫ বলে ৫ রান করে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও ২১ বলে ১৯ রান করে ইমরুল কায়েস শেষ অবধি অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

 

তৃতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অন্তত ৭ উইকেট পেলেন আবু হায়দার। এর আগে এই কীর্তি ছিল পেসার ইয়াসিন আরাফাত ও স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের। ২০১৭-১৮ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ৪০ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন ইয়াসিন। জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দলের বিপক্ষে ২০০৪ সালে  ১৭ রানে ৭ উইকেট নেন রাজ্জাক।

 

গাজী টায়ার্স অলআউট হয়েছে দেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন দলীয় রানে। ২০০২ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটের জাতীয় ক্রিকেট লিগে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে ৩০ রানে অলআউট হয়ে যায় চট্টগ্রাম বিভাগ। ২০১৩ সালে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ক্রিকেট কোচিং স্কুলকে ৩৫ রানে অলআউট করে আবাহনী।