সিলেট-৩ আসন : বড় তিন দলেই প্রার্থীর ছড়াছড়ি

প্রকাশিত: ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩

সিলেট-৩ আসন : বড় তিন দলেই প্রার্থীর ছড়াছড়ি

নবীন সোহেল :: দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে সিলেট-৩ আসন। এ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিএনপির প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরীকে পরাজিত করে হ্যাটট্রিক বিজয় পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস। কিন্তু বছরখানেক আগে তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হলে উপনির্বাচনে বিজয়ী হন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব।

 

নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী অর্ধডজন নেতা। তাঁরা হলেন হেভিওয়েট প্রার্থী বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ আগে কখনও সংসদ সদস্য হননি। সাংগঠনিক কারণেই এ আসনে তার প্রভাব রয়েছে। তিনি দলীয় মনোনয়নের জোর দাবিদার।

 

দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে আছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু জাহিদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর স্ত্রী ফারজানা সামাদ চৌধুরী। এদিকে, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আ স ম মিসবাহ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা মনির হোসাইন ও আবদুর রকিব মন্টুও দলীয় মনোনয়ন লাভের আশায় কাজ করছেন।

 

বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের এপিএস এবং দলটির সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কমিটির আশন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এম এ সালাম এবং দলটির চেয়ারপারসনের প্রয়াত উপদেষ্টা এম এ হকের ছেলে ও জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রিয়াসাদ আজিম হক আদনান। পাশাপাশি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক এমপি শফি আহমেদ চৌধুরীও আছেন মাঠে।

 

একসময় সিলেটজুড়ে নির্বাচনী মাঠে আধিপত্য ছিল জাতীয় পার্টির (জাপা)। সময়ের ব্যবধানে জাপার সেই অবস্থান আর নেই। তবে নির্বাচন এলেই সবার আগে আলোচনায় আসে প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দলের কথা। ২০০১ সালে জাপার প্রার্থীকে হারিয়ে সিলেট-৩ আসন দখলে নেয় বিএনপি। এরপর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি চলে যায় আওয়ামী লীগের ঘরে। এরপর থেকে এই আসন এখন পর্যশন্ত দলটির কবজায়। জাপা এখন অনেকটা ব্রাত্য। ভোট বেড়েছে আওয়ামী লীগ-বিএনপির। তবে দুই দলের ভোট প্রায় সমান সমান। আগামী নির্বাচনে জয় তাই অনেকটা নির্ভর করছে ভাসমান বা নির্দলীয় ভোটারদের ওপর। জাপার মনোনয়নপ্রত্যাশী দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিকসহ বেশ কয়েকজন। আতিক সর্বশেষ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। জেলা শাখার সাবেক সদস্য সচিব উছমান আলী দলীয় মনোনয়নের দৌড়ে রয়েছেন। এছাড়া জামায়াত থেকে এ আসনে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা লোকমান আহমদ নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, আসনের তিন উপজেলায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির হানাহানি না থাকলেও সরব উপস্থিতি আছে দুই দলেরই। স্থানীয়রা বলছেন, ভোটেও দুই দল সমান সমান। প্রার্থীর ব্যক্তি জনপ্রিয়তা, দলের নির্বাচনী চমক এবং দলের বাইরের ভোটারদের ভোট ঠিক করে দেবে, কে হবেন আসনের এমপি। আওয়ামী লীগে বর্তমান এমপির পাশাপাশি ডা. দুলালেরও জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে পিছিয়ে নেই বিএনপিও। ব্যক্তি হিসেবে বিএনপির কাইয়ুম চৌধুরীও বেশ জনপ্রিয়। তিনি প্রার্থী হলে ভোটে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।

 

তবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলছেন, এখানে তাঁদের অবস্থান বেশ সুদৃঢ়। সংগঠনগুলো সক্রিয়। করোনাভাইরাস ও বন্যায় মানুষের পাশে থাকায় নেতাদের জনপ্রিয়তা বেড়েছে।

 

বর্তমান এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘জনগণ যে প্রত্যাশা নিয়ে মহামারি করোনার মধ্যেও উপনির্বাচনে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছে, আমিও মানুষের সেই প্রত্যাশা পূরণে সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

 

ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল বলেন, ‘তিন উপজেলার মানুষের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় আমি দলীয় মনোনয়নের যোগ্য। মনোনয়ন দিলে জয় নিশ্চিত।’

 

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা নির্বাচন নিয়ে আপাতত ভাবছি না। মানুষের ভাতের ও ভোটের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করছি। যদি এগুলো নিশ্চিত করতে পারি, আর দল নির্বাচনে অংশ নেয়, তখন মনোনয়নপ্রত্যাশী।’

 

উল্লেখ্য, এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২২ হাজার ২৯৩। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৮৬৮ এবং নারী ১ লাখ ৫৯ হাজার ৪২৫ জন।

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন