পরীক্ষার ফল : সন্তানদের অন্যের সঙ্গে তুলনা না করার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ৮:৪১ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২৩

পরীক্ষার ফল : সন্তানদের অন্যের সঙ্গে তুলনা না করার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

অনলাইন ডেস্ক : সন্তান পরীক্ষায় যেমনই ফল করুক, অন্যের সঙ্গে তুলনা করে তাকে কষ্ট না দিয়ে বরং তার দিকে আরও বেশি যত্নশীল হতে অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে গণভবনে চলতি বছরের মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী বলেন, অমুকের ছেলে ভালো করেছে, তুমি পারলা না কেন- অভিভাবকেরা এই তুলনাটা যেন না করে।তিনি বলেন, এইধরনের তুলনা করা ঠিক না। কারণ সবার সব রকম মেধা থাকে না, সবার সেই চিন্তাভাবনার শক্তি থাকে না। যার যেটা দক্ষতা, সে সেই অনুযায়ীই পড়বে। যতটুকু সম্ভব, তাদের সহযোগিতা করা উচিত।”

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা কৃতকার্য হতে পারেনি, তাদের বলব- হতাশ না হয়ে আগামীবার আরও ভালভাবে পাস করতে হবে, সেজন্য যেন তারা প্রস্তুত হতে পারে।শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা কৃতকার্য হতে পারেনি, মনে দুঃখ নেওয়ার কিছু নেই। একটু মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনা করলেই তারা ভালো রেজাল্ট করতে পারবে। একটু পিছিয়ে পড়লেও ক্ষতি নেই, তারা আবার এগিয়ে যেতে পারবে।

 

অভিভাবকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কখনো বকাবকি করবেন না। তাদেরও মনে কষ্ট আছে। তাদের আদর দিয়ে ভালবাসা দিয়ে তারা যেন পড়াশোনায় মনোনিবেশ করে, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।এবছর ৩০ এপ্রিল এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনের ২০ লাখ ৭৮ হাজার ২১৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ৪৯ দশমিক ৩২ শতাংশ ছাত্র ও ৫০ দশমিক ৬৮ শতাংশ ছাত্রী।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলের সংখ্যা কেন কমে যাচ্ছে একটু ভেবে দেখা দরকার।

 

এরা কি স্কুলে যাচ্ছে না? পরীক্ষার্থী সংখ্যা কেন কমে গেল? আমার মনে হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তা ভালোভাবে দেখা দরকার।অনুষ্ঠানের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের অনুলিপি এবং পরিসংখ্যান প্রতিবেদন তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে এবং অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশিত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট ও মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা।চলতি বছর এসএসসি ও সমমানে পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনের ২০ লাখ ৭৮ হাজার ২১৬ জন পরীক্ষার্থী ছিল।

 

এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা হচ্ছে ১০ লাখ ২৪ হাজার ৯৮০ জন, যা ৪৯.৩২ শতাংশ। ছাত্রী সংখ্যা হচ্ছে ১০ লাখ ৫৩ হাজার ২৪৬ জন, যা ৫০.৬৮শতাংশ।ঢাকা বোর্ড ৭৭ দশমিক ৫৫; চট্টগ্রাম বোর্ড ৭৮ দশমিক ২৯; কুমিল্লায় ৭৮ দশমিক ৪২; বরিশালে বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ১৮; ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৮৫ দশমিক ৪৯; রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৮৯; যশোর বোর্ডে ৮৬ দশমিক ১৭; চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭৮ দশমিক ২৯; দিনাজপুরে ৭৬ দশমিক ৮৪; সিলেটে ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন