সিলেট বোর্ডে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ ফাইভ

প্রকাশিত: ৮:২৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২৩

সিলেট বোর্ডে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ ফাইভ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট শিক্ষা বোর্ডে চলতি বছর শতভাগ পাসের সাফল্য দেখিয়েছে ২৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তিন বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফল হয়েছে বিজ্ঞান বিভাগে। পাসের হার ও জিপিএ ফাইভ পাওয়ার দিক থেকে এবারও ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা।

 

সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এবার এসএসসি পরীক্ষায় কমেছে পাশের হার ও জিপিএ-৫। তিন বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফলাফল হয়েছে বিজ্ঞান বিভাগে। পাশের হার ও জিপিএ-৫ লাভ উভয় ক্ষেত্রে এবারও ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। শতভাগ পাশের সাফল্য দেখিয়েছে ২৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর কেউ পাশ করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নেই।

 

সিলেট শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুন চন্দ্র পাল। তিনি জানান, সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এ বছর এসএসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৫৩২ জন। এর মধ্যে পাশ করেছে ৮৩ হাজার ৩০৬ জন। পাশের হার ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। গত বছর পাশের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৪৫২ জন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৫৬৫ জন। অর্থাৎ গেল বছরের চেয়ে এ বছর পাশের হার ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও জিপিএ-৫ লাভের সংখ্যা ২ হাজার ১১৩ জন কম।

 

গত বছরের মতো এবারও সার্বিক ফলাফলে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। এ বছর সিলেট শিক্ষা বোর্ড থেকে ৪৫ হাজার ২৮৩ জন ছেলে ও ৬৪ হাজার ২৪৯ জন মেয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৩৩ হাজার ৯০৯ জন ছেলে ও ৪৯ হাজার ৩৯৭ জন মেয়ে পাশ করেছে। ছেলেদের পাশের হার ৭৪ দশমিক ৮৮ ও মেয়েদের পাশের হার ৭৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৪৭০ জন ছেলে ও ২ হাজার ৯৮২ জন মেয়ে।

 

সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে পাশের হার ৯১ দশমিক ৭৪ শতাংশ, মানবিক বিভাগে ৭০ দশমিক ৮৩ শতাংশ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৮৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। আর তিন বিভাগের গড় পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। পাশের হার কম হওয়ার জন্য পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন চন্দ্র পাল মনে করেন অধিক সংখ্যক পরীক্ষার্থী মানবিক বিভাগে থাকা। ফলাফলেও এ চিত্র বিদ্যমান। বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ে প্রায় ২১ শতাংশ কম পাশ করেছে মানবিক বিভাগে। যা বোর্ডের গড় ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে।

 

ফলাফল ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিদর্শক মঈনুল ইসলাম, সিস্টেম অ্যানালিস্ট সরকার মো. আতিকুর রহমান, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হাবিবা বাছিত, মো. শরীফ আহমদ ও সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দ্বীনেশ রঞ্জন দাস।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন