প্রকাশিত: ৫:১০ অপরাহ্ণ, জুন ২৩, ২০২৩
নিউজ ডেস্ক :: গেল বছরের বন্যায় জৈন্তাপুরে রিলিফ দুর্নীতি, অনিয়ম ও ব্যাপক লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জামায়াত দলীয়ভাবে ও তাদের মতাদর্শী আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ামী ব্যাপকভাবে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ বিতরণ করেছে। খাদ্য সামগ্রী, নগদ টাকা এবং বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে গৃহ নির্মাণ, টিন বরাদ্দসহ সামগ্রিক কার্যক্রম যথাযথ নিয়মে না হওয়া,আর্থিক অনিয়ম ও রিলিফ সামগ্রী অসমবন্টনসহ আত্মসাৎ এর খবর পাওয়া গেছে।খোদ ভুক্তভোগী জনগণ ও দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে এনিয়ে বিশাল প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর লিখিত এক অভিযোগ দিয়েছেন জামায়াতের জেলা নেতৃবৃন্দের কাছে।জানা যায়,জৈন্তাপুর উপজেলায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন ও উপজেলা জামাতের সভাপতি মাওলানা নাজমুল ইসলাম।
এবিষয়ে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বেশ তথ্য পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দরবস্ত ইউনিয়ন জামায়াতের এক নেতা জানান,আমাদের কেন্দ্রীয় আমীর শফিকুর রহমান বন্যার সময় ত্রাণ বিতরণে আসলে প্রায় ১৭জনের ভূয়া তালিকা দিয়ে তাদের নামের ১৭টি বস্তা জামায়াত পরিচালিত একটি মাদ্রাসায় লুকিয়ে রাখে একটি চক্র। পরবর্তীতে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা ঐগুলো উদ্ধার করে উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করে।
উপজেলা ছাত্রশিবিরের এক নেতা জানান,প্রলয়ংকারী বন্যায় জৈন্তাপুর উপজেলার সর্বত্র প্লাবিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের দলীয় রিলিফ বিতরণে ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়নকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এর বাড়ী দরবস্ত ইউনিয়নে আর উপজেলা আমীর এর বাড়ী চারিকাটা ইউনিয়নে। তাই সেদিকে বেশী বরাদ্দ হয়েছে। এই বৈষম্যের নিন্দা জানাই আমরা।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ত্রাণ কমিটির সিদ্ধান্ত ছিল ফ্রেস সয়াবিনের বোতল দেয়া কিন্তু দেয়া হয়েছে মঞ্জিল তেল। এতে ১২ হাজার টাকার হিসাব পাওয়া যায় নি। আমিরে জামায়াত শফিকুর রহমান সফরকালীন ১৭ বস্তা আত্মসাৎ,ঘর মেরামতের জন্য ২লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, প্রবাসী কল্যাণ থেকে ৮০ হাজার টাকা, ঈদের সময় ত্রাণবাবদ নগদ ৪০ হাজার, ফিতরা গরীব মিসকীনদের জন্য ৩০ হাজার ও দলীয় ইউপি মেম্বারদের উপহারবাবদ ২০ হাজার টাকার কোন হিসাব অদ্যাবধি পাওয়া যায় নি। অভিযোগকারী ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিষয়টি নিরপেক্ষ যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উর্ধবতন কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে জেলা জামায়াত নেতা সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,এ ঘটনায় আমাদের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি।এ বিষয়ে আমার কোনও বক্তব্য নাই।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest