সাবিনাদের সঙ্গে বাফুফে কর্তাদের বৈঠক

প্রকাশিত: ১:২৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১, ২০২৩

সাবিনাদের সঙ্গে বাফুফে কর্তাদের বৈঠক

সিলেট টুয়েন্টিফোর এক্সপ্রেস ডেস্ক : গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রথমবারে মতো দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ টুর্নামেন্ট সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। শিরোপা জয়ের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) দুই কর্মকতার পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মেয়েদের ৫০ লাখ টাকা করে আর্থিক পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়।

 

তবে সাফ জয়ের সাত মাস পেরিয়ে গেলেও সেই অর্থ মেয়েরা এখনো বুঝে পাননি। যার কারণে অনুশীলন বর্জন করেছিলেন সাবিনা-কৃষ্ণারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাফুফের ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবরে জানা যায় এমনটা।

 

তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ে বাফুফে ভবনে গেলে বাস্তবতা সঙ্গে মিল পাওয়া যায় অনেকটাই। বাফুফের জিমে বয়সভিত্তিক নারী দলগুলো অনুশীলন করলেও জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা বৈঠকে বসেছিলেন বাফুফে কর্তাদের সঙ্গে। তবে বৈঠক নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ বাফুফে কর্মকর্তা এবং খেলোয়াড়রা।

সাবিনাদের

সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নেপাল থেকে বাংলাদেশে আসার পরই সবার আগে চমক দেয় বিসিবি। তারা মেয়েদের ৫০ লাখ টাকা আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করে।

 

এর ঠিক কয়েক ঘণ্টা পর বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকও চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫০ লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সাবিনাদের জন্য আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা আসে।

 

তবে ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও সে অর্থ এখন বুঝে পাননি বাংলাদেশের মেয়েরা। এ জন্য তাদের মধ্যে এক প্রকার ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। যার কারণে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্ট চলাকালে দু’দিন অনুশীলন করেননি বাংলাদেশ সিনিয়র নারী ফুটবল দল। তাদের অনুশীলন না করার বিষয়টি একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সাবিনাদের

দুই দিন অনুশীলন না করলেও তৃতীয় দিনের মাথায় তারা জিম করেছে। অনুশীলন করেনি। আর্থিক সংকটে থাকা বাফুফে নারী ফুটবলাদের মায়ানমারে অলিম্পিক বাছাইয়ে খেলতে পাঠানোর বিষয়ে এমনিতেই দোটানায় ছিল। তার মধ্যে মেয়েদের অনুশীলন বর্জন ভালো ভাবে নেননি ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। তাদের এই আচরণ টুর্নামেন্টে দল না পাঠানোর সিদ্ধান্তকে আরো ত্বরান্বিত করেছে বলে জানা গেছে।

 

তবে ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী তার ঘোষণাকৃত অর্থ দ্রুততম সময়ে মেয়েদের কাছে হস্তান্তরের কথা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন একাধিকবার নিশ্চিত করেছেন বিসিবির চেক প্রস্তুত, বাফুফে সময় দিলেই সম্পন্ন হবে হস্তান্তর প্রক্রিয়া।

 

এখন দেখার পালা কবে মেয়েরা তাদের অর্থ বুঝে পান।