দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে থামলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১:০৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২৩

দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে থামলো বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ: ৩৩৮/৮ (৫০ ওভার) আয়ারল্যান্ড ১২/০ (৩ ওভার) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান করে। ওয়ানডেতে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। এতদিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৩৩৩ (পর ব্যাটিং)। আর আগে ব্যাটিং করে সর্বোচ্চ রান ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৩০ রান। দুটি রেকর্ডই হয়েছিল ২০১৯ বিশ্বকাপে। আইরিশদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৯৩ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব আল হাসান। ৮৯ বলে তিনি এই রান করেন। সাকিব থেকে ১ রান কম ৯২ করেন অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়। ৮৫ বলে এই রান করেন তিনি। দুজনেই সেঞ্চুরি হাতছড়া করেন। মুশফিক খেলেন ২৬ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস। লিটন দাস ২৬, নাজমুল হোসেন শান্ত ২৫ রান করে ফেরেন সাজঘরে। শেষদিকে ইয়াসির আলী ১০ বলে ১৭ রান করে ফেরেন রানআউট হয়ে। তার আগে তাসকিন ৭ বলে ১১ রান করেন। এ ছাড়া নাসুম ৭ বলে ১১ ও মোস্তাফিজুর রহমান ২ বলে ১ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। আইরিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন গ্রাহাম হুম।

 

বিশ্ব রেকর্ড গড়া হলো না হৃদয়ের

অভিষেকে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিলেন। হাতছানি দিচ্ছিল বিশ্বরেকর্ড। অভিষেকে পাঁচে নেমে কোনো ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি ছিল না। অভিষেকে সর্বোচ্চ ছিল স্বপ্নিল প্রকাশ পাটিলের ৯৯ রান। মাত্র ৮ রানের জন্য হৃদয়ের রেকর্ড হলো না। গ্রাহাম হুমের স্লোলার ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে ফেরেন ৯২ রানে। এর আগে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেকে সর্বোচ্চ ৬৩ রান ছিল নাসির হোসেনের। ১২ বছর পর এই রেকর্ড ভাঙেন হৃদয়। ৮টি চার ও দুটি ছয়ে পাঁচে নেমে এই রান করেন হৃদয়।

 

২৬ বলে ৪৪ রান করে মুশফিকের বিদায়

সিলেটে দেখা মিললো আগ্রাসী মুশফিকুর রহিমের। মাত্র ২৬ বলে ৪৪ রান করে বিদায় নেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। গ্রাহাম হুমের বলে ক্যাচ দেন শর্ট ফাইন লেগে ৩টি করে চার-ছয়ে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল।

 

হৃদয়-মুশফিকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ

সাকিবের আউটের পর ক্রিজে এসেই হাত খুলে খেলতে থাকেন মুশফিক। আগে থেকে থাকা ফিফটি হাঁকানো তৌহিদ হৃদয়ও মারছেন সুযোগ পেলেই। দুজনের ফিফটির জুটি পূর্ণ হয় মাত্র ৩২ বলে।

 

৭ রানের জন্য সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে সাকিব

মাত্র ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি সাকিব আল হাসান। গ্রাহাম হুমের আউটসাইড অফের ইয়র্কারে পরাস্ত হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় উইকেটের পেছনে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। সাকিব রিভিউ নেননি। ৬৫ বলে ফিফটির পর হাত খুলে খেলতে থাকেন সাকিব। ফিফটির পর ৪৩ রান করেন মাত্র ২৪ বলে। টেক্টরের এক ওভারেই ৫টি চারে নেন ২২ রান। ৯টি চারে ৮৯ বলে ৯৩ রান করেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ক্রিজে হৃদয়ের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।

তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে অভিষেকেই হৃদয়ের হাফ সেঞ্চুরি

এর আগে নাসির হোসেন ও ফরহাদ রেজা তাদের অভিষেক ম্যাচেই ফিফটি করেন। আজ এই রেকর্ডে নাম লেখান তৌহিদ হৃদয়। ৪টি চারে ৫৫ বলে নিজের অভিষেক ম্যাচে ফিফটির দেখা পান হৃদয়।

টেক্টরের ওভারে সাকিবের ৫ চার, বাংলাদেশের ২০০

টানা তিনটি সহ টেক্টরের করা ৩৫তম ওভারে ৫টি চার হাঁকিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এই ওভারে ২২ রান নেন তিনি। বাংলাদেশ ৩৪.৫ ওভারে ২০০ পূর্ণ করে।

 

সাকিব-হৃদয়ের জুটির সেঞ্চুরি

চতুর্থ উইকেটে সাকিব আল হাসান-তৌহিদ হৃদয় ১০০ রান যোগ করেন। ১০৩ বলে এই রান করেন দুজনে। এর আগে দুজনে ৫৭ বলে ৫০ রান যোগ করেছিলেন।

 

রেকর্ড গড়ার পর সাকিবের হাফ সেঞ্চুরি

ক্যাম্পারকে ডিপ পয়েন্টে কাট করে ৬৫ বলে ফিফটির দেখা পান সাকিব আল হাসান। এটি তার ক্যারিয়ারের ৫৩তম হাফ সেঞ্চুরি। শুরুতে বলে-রানে প্রায় সমান থাকলেও মাঝে কিছুটা ধীরগতিতে খেলেন। তার ফিফটির ইনিংসে মাত্র ২টি চার। সিঙ্গেলস-ডাবলে যতো মনোযোগ। ব্যাক্তিগত ফিফটির আগে তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে জুটিরও ফিফটি হয়।

 

সাকিব-হৃদয়ের ফিফটির জুটিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ

শান্ত আউট হওয়ার পর আর কোনো বিপদ ঘটেনি বাংলাদেশের ইনিংসে। সাকিবের সঙ্গে জুটি গড়ে অভিষিক্ত হৃদয় খেলছেন দারুণ। ৫৭ বলে চতুর্থ উইকেটে দুজনে ৫০ রান যোগ করেন। দুজনের এই জুটিতে একশর পর ২৯.৪ ওভারে দেড়শ রান করে বাংলাদেশ।

 

দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে সাকিবের ৭ হাজার

ক্যাম্পারের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৭ হাজারি ক্লাবে নাম লেখান সাকিব আল হাসান। ২১৬ ম্যাচে ৩৭.৮৪ গড়ে ৯ সেঞ্চুরিতে এই রান করেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার। ২৩৩ ম্যাচে ৮ হাজার ১৪৬ রান নিয়ে তার উপরে আছেন তামিম ইকবাল। এ ছাড়া ২২৭ ম্যাচ খেলে ৭ হাজার থেকে ৯৯ রান দূরে আছেন মুশফিকুর রহিম। এর আগে ইংল্যান্ড সিরিজে ৬ হাজার রান ও ৩০০ উইকেটের বিরল কীর্তি গড়েছিলেন। এবার আইরিশদের বিপক্ষে নাম লেখালেন নতুন রেকর্ডে। আইরিশদের বিপক্ষে এখন তিনি ব্যাট করছেন ২৯ রানে।

 

সাকিব-হৃদয় জুটিতে বাংলাদেশের সেঞ্চুরি

শান্ত ফেরার পর ক্রিজে সাকিবের সঙ্গী হন অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়। দ্বিতীয় বলেই রানের খাতা খোলেন বাউন্ডারি দিয়ে। দুই প্রান্ত দুজনে খেলছেন বুঝেশুনে। তাদের জুটিতে ২০.৪ ওভারে বাংলাদেশ দলীয় স্কোর ১০০ পার করে।

 

এবার ম্যাকব্রিনের ঘূর্ণিতে বোল্ড শান্ত

এক পাশে আগলে রেখে সাবলীল ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৭তম ওভারে ম্যাকব্রিনের করা তৃতীয় বলে ফ্রন্ট ফুটে এসে ড্রাইভ করেছিলেন, ব্যাটে-বলে এক হয়নি। ভেঙে দেয় উইকেট। ৩৪ বলে ১ চারে ২৫ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৮১ রানে বাংলাদেশ হারালো তৃতীয় উইকেট। তার আউটে সাকিবের সঙ্গে গড়া ৪২ বলে ৩২ রানের জুটি ভেঙে যায়। ক্রিজে সাকিবের সঙ্গী অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়।

 

দারুণ ইনিংসের আভাস দিয়ে সাজঘরে লিটন

মার্ক অ্যাডেয়ারের করা পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বল। শর্ট লেন্থের বাউন্স, লিটন দুর্দান্ত দক্ষতায় থার্ডম্যান অঞ্চল দিয়ে উড়িয়ে পাঠালেন বাউন্ডারির বাইরে। তামিম ফিরলেও লিটনের ব্যাট ছিল সাবলীল। কিন্তু থিতু হয়েও ক্রিজে বেশিক্ষণ থাকতে পারলেন না। আউট হওয়ার এক বল আগেও ক্যাম্পারকে ফ্লিক করে হাঁকিয়েছেন দারুণ চার। ব্যাক ফুটে খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন কাভারে। ২ চার ১ ছয়ে ৩১ বলে ২৬ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার আউটে ভেঙে যায় শান্তর সঙ্গে গড়া ৪২ বলে ৩৯ রানের জুটি। ক্রিজে শান্তর সঙ্গী সাকিব।

 

৩ রানে ফিরলেন তামিম

বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। তৃতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে বিপদে পড়েন তামিম। কানায় লেগে বল যায় প্রথম স্লিপে। সেখানে থাকা স্টার্লিং ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি। ৯ বলে ৩ রান করেন তামিম। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত।

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, হৃদয়ের অভিষেক

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ। এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং করবে তামিম ইকবালের দল। শনিবার দুপুর ২টায় সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হয়।

 

বাংলাদেশ একাদশ

অনুশীলনে ফুটবল খেলতে গিয়ে পাওয়া চোটের কারণে মেহেদি হাসান মিরাজ নেই একাদশে। অভিষেক হচ্ছে তৌহিদ হৃদয়ের। ওয়ানডে দলে ফেরার পর একাদশে ফিরেছেন নাসুম আহমেদ। ফিরেছেন ইয়াসির আলী চৌধুরীও।

একাদশে যারা, তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তৌহিদ হৃদয়, ইয়াসির আলী চৌধুরী, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেন চৌধুরী ও নাসুম আহমেদ।

 

ভালো খেলে জয়ের পাল্লা ভারী করতে চায় বাংলাদেশ

দুই দলের মুখোমুখিতে ফল হওয়া নয় ম্যাচের সাতটিতে বাংলাদেশ জিতেছে। হেরেছে দুটিতে। এবার তাদের বিপক্ষে হাথুরুসিংহের একটাই চাওয়া, ‘ছেলেদের থেকে একটাই প্রত্যাশা পারফর্ম করা। আমরা যখন ভালো খেলি তখন ম্যাচ জিতি। এবার সেই কাজটাই ওদের থেকে চাইছি।’

 

আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে নামবে বাংলাদেশ

জয়-পরাজয় ছাপিয়ে হাথুরুসিংহের চাওয়া মাঠে নিজেদের আক্রমণাত্মক, আগ্রাসী, ক্ষুধার্ত চরিত্রটা ফুটিয়ে তোলা, ‘আমি ভিন্ন কিছুর জন্য তাকিয়ে থাকো। মাঠে চরিত্র ফুটিয়ে তোলা। তারা কিভাবে পরিস্থিতি সামলে নেয়। পারফরম্যান্স উঠা-নামা করবে। কিন্তু মাঠে নিজেদের শারীরিক ভাষা, ফিল্ডিং, অ্যাটিটিউড যেন প্রদর্শন করতে পারে। তাহলেই আমরা সঠিক পথে থাকব।’

 

ছাড় দেবে না আয়ারল্যান্ডও

বাংলাদেশ যে ইংল্যান্ড দলকে ৩-০ ব্যবধানে কিছুদিন আগে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করেছে সেই দলটিকে বিশ্বকাপে একমাত্র হারিয়েছে এই আয়ারল্যান্ডই। সেই দলটি বাংলাদেশে এসেছে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ও একটি টেস্ট খেলতে।