‘এশিয়ার সেরা ফিল্ডিংয়ের’ দল হতে চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১:০৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ৮, ২০২৩

‘এশিয়ার সেরা ফিল্ডিংয়ের’ দল হতে চায় বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক : বহু ম্যাচে তীরে গিয়ে তরি ডুবেছে ফিল্ডিংয়ের কারণে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ফঁসকেছে হাত। ক্রিকেট বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোর তুলনায় ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ দল সাদামাটা। এবার ইংল্যান্ড সিরিজেও হয়েছে বাজে ফিল্ডিং। এই সিরিজ দিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়া প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ফিল্ডিং নিয়ে বেশ সিরিয়াস। তারুণ্যে ভর করে লঙ্কান এই কোচ বাংলাদেশকে এশিয়ার সেরা ফিল্ডিংয়ের দেশ হিসেবে তৈরি করতে চান।

 

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগের দিন বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এমন চাওয়ার কথা বলেন হাথুরুসিংহে। তরুণদের ফিল্ডিং নিয়ে প্রশ্নে হাথুরুসিংহের কন্ঠে ঝরেছে প্রত্যাশার বাণী।

 

‘প্রত্যাশা সবসময় অনেক অনেক বেশি। আমাদের এশিয়ার সেরা ফিল্ডিংয়ের দল হতে হবে। আমরা কারও সঙ্গে তুলনায় যাব না। কিন্তু আমাদের তুলনা করতে হবে আমরা কি করছি এবং আমাদের কোথায় যাওয়া প্রয়োজন (ফিল্ডিংয়ে)। তরুণদের দলে থাকা ফিল্ডিংয়ে অবশ্য সাহায্য করবে। শেষ কয়েক সপ্তাহর দিকে তাকালে বোঝা যাবে, (তৌহিদ) হৃদয় দুর্দান্ত একজন ফিল্ডার।’

 

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দুর্দান্ত খেলে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা করে নিয়েছেন তৌহিদ হৃদয়। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই লিগে পারফর্ম করে হৃদয়ের মতো জায়গা করে নিয়েছেন রেজাউর রহমান ও তানভীর ইসলাম। এ ছাড়া ৮ বছর পর দলে এসেছেন রনি তালুকদার।

 

তারুণ্যে আধিক্য দিয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের দল গঠন করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ক্রিকেটে যাদের সিনিয়র হিসেবে ধরা হয় তার মধ্যে আছেন একমাত্র সাকিব আল হাসান। তার কাঁধেই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বের ভার। সাকিব ছাড়া ত্রিশের বেশি বয়স শুধু রনি তালুকদারের। যেখানে ওয়ানডে দলে আছেন ৫ জন।

 

ওয়ানডে সিরিজের দলে সঙ্গে চট্টগ্রামে আসে টি-টোয়েন্টি দলও। সিরিজ শুরুর আগের দিনের অনুশীলনে টি-টোয়েন্টি দলে থাকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রথম দেখা হাথুরুসিংহের। আর আজ এই দল নিয়ে আনুষ্ঠানিক অনুশীলন শুরু করেন। হাথুরুসিংহের বার্তায় স্পষ্ট তারুণ্যে তার বিশ্বাস রয়েছে। নিজেদের প্রমাণের জন্য দেওয়া হবে পর্যাপ্ত সুযোগ।

 

প্রথমবারের মতো দলে ডাক পাওয়া ক্রিকেটারদের নিয়ে হাথুরুসিংহের বার্তা, ‘আমার স্মরণে আছে রনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছে এরপর কি হয়েছে আমার মনে নেই। আমি সত্যিকার অর্থে আগ্রহী তারা কি করে দেখার জন্য। এটা তাদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটা সুযোগ। এটা না যে তারা মাত্র একটি সুযোগ পাবে। তাদের সুযোগ দেওয়া হবে তারা কি করতে পারে তা দেখানোর জন্য। তাদের প্রতি আমার আজকের বার্তা, স্বাভাবিকভাবে খেলায় যা করতো তাই যেন করে।’

 

চারদিকে এখন টি-টোয়েন্টির জয়জয়কার। দুই বছর পরপর আছে বিশ্বকাপ। কিন্তু এই সংস্করণে বাংলাদেশ নিজেদের মেলে ধরতে পারছে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) মরিয়া এই সংস্করণে সাফল্যের মুখ দেখতে। নানা কোচ ঘুরে এই দায়িত্ব এখন হাথুরুসিংহের কাঁধে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু হবে এই পরীক্ষা।

 

টি-টোয়েন্টির মিশনে নেমে হাথুরুসিংহের চোখ ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, ‘আমি এই দলকে আজ দেখেছি। এটা ২০২৪ বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু হলো মাত্র। এক সুত্রে গাঁথার জন্য অনেক কাজ করতে হবে। আমাদের কি আছে, কোথায় উন্নতি করতে হবে এবং কি পরিকল্পনায় এগোতে হবে সব বের করতে হবে। এটা মাত্র শুরু।’