বিদ্যুৎ-জ্বালানির জন্য এত কষ্ট আর থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৩:৫৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২২

বিদ্যুৎ-জ্বালানির জন্য এত কষ্ট আর থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি। এখন ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে যেহেতু তেল কিনতে অসুবিধা হচ্ছে, গ্যাস আনতে অসুবিধা হচ্ছে- তাই একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে। হয়তো আগামী মাস থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির জন্য এত কষ্ট আর থাকবে না। শনিবার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

 

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে প্রকৃত গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক অধিকার এ দেশের মানুষের ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে। নির্বাচনে যতটুকু স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে সেটা আমাদের আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল। আওয়ামী লীগের সময় সব দলই তাদের রাজনীতি করার যে সুযোগটা পাচ্ছে- সেই ব্যবস্থাটাও আমরা করে দিয়েছি। কবে কে করেছে বাংলাদেশের মানুষের জন্য এত কাজ? এতবার তো ক্ষমতায় ছিল সবাই। জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া ছিলেন, কোথায় মানুষের কল্যাণে তারা তো কখনো কিছু করেননি, করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর দেশের উন্নতি হয়েছে। নইলে এত উন্নতি হত না।

 

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তেল, পানি ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। মিতব্যয়ী হতে হবে। কারণ সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। তার প্রভাব থেকে আমরা কিন্তু মুক্ত নই।

 

তিনি বলেন, প্রত্যেকের যার যতুটুক জমি আছে এক ইঞ্চি জমিও যেন অনবাদী না থাকে। যে যা পারেন, উৎপাদন করুন। নিজের জমিতে ফসল ফলান। কারণ সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ, খুবই ভয়ানক অবস্থা। সেখানে বাংলাদেশ এখনও যেভাবে চলছে, আমাদের নিজেদের উৎপাদন নিজেরা বাড়াতে পারলে কোনদিন ওই দুর্ভিক্ষের আঁচ লাগবে না। এটা হলো বাস্তবতা।

 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, রিজার্ভের প্রতিটা টাকা দেশের মানুষের জন্য খরচ করা হয়েছে। এখনও পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ সরকারের হাতে আছে।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারাবিশ্বব্যাপী সমাদৃত। কিন্তু সেটা চোখে দেখে না দেশের কিছু মানুষ। তাদের কিছুই ভালো লাগে না। গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে তাদের ভালো থাকে না। একটু অগণতান্ত্রিক সরকার হলে তাদের মূল্যটা বাড়ে, ভালো লাগে। বাংলাদেশে সেই খেলাই খেলতে চায় তারা।

 

প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর তাঁর সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি দলটির সর্বোচ্চ থিংট্যাঙ্ক বলে পরিচিত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে আগামী নির্বাচন, ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় দলের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল, বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সম্ভাব্য আন্দোলন মোকাবিলার কৌশল এবং রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।