প্রকাশিত: ৪:২৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২৫
স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে ওঠায় বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল নিয়ে আরও বড় স্বপ্ন দেখছে বাফুফে। নারী এশিয়ার মঞ্চ থেকে বেরিয়ে আরও উপরে যাওয়া যায়, কীভাবে প্রবেশ করা যায় তা নিয়ে চিন্তা বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের। সিনিয়র জাতীয় দল এবং সাফ অনুর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স তাবিথকে নতুন করে আরও কঠিন স্বপ্ন দেখার সাহস দেখিয়েছে।
এশিয়া কাপের চূড়ান্ত পর্বের খেলা আগামী মার্চে। ১২ দেশ খেলবে এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে। খেলা হবে ১-২১ মার্চ। তারপরই জানা হয়ে যাবে বাংলাদেশের গতিপথ কোথায় যাবে। ১২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৭-৮ নম্বরে থাকবে কি না। এসব সমীকরণে যাচ্ছেন না তাবিথ। তার পরিষ্কার হিসাব, ভালো কিছু করতে হবে। আর ভালো কিছু এখনই হয়ে যাবে তা-ও না। বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের নিয়ে করণীয় আরও কী কী রয়েছে তারও একটা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা যাবে।
বাংলাদেশের নারী ফুটবলের পাইপ লাইনে খেলোয়াড় রয়েছে। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে দলের ব্রিটিশ কোচ পিটার জেমস বাটলার অন্তত ২২ জন ফুটবলারকে নানাভাবে খেলিয়েছেন। নতুন নতুন খেলোয়াড়দেরকে মাঠে নামিয়ে বাজিয়ে দেখেছেন, তারা কতটুকু কী করতে পারেন। সন্তোষজনক পারফরম্যান্স করেছেন সেই সব ফুটবলাররা, ফেলে দেওয়ার মতো না। বাফুফে সভাপতি বুঝতে পারছেন, সাইড বেঞ্চ শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আর কয়েক বছরের মধ্যে নারী ফুটবলের অবস্থান আরও ভালো জায়গায় নেওয়া সম্ভব।
নারী ফুটবল ইস্যুতে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল ইত্তেফাককে জানিয়েছেন, এখন অর্থ কোনো বিষয় না। অর্থের জন্য কোনো কিছু আটকে থাকবে, সেটা আমি বলবো না। অর্থ আছে, অর্থ আসবে। এখন দরকার পরিকল্পনা এবং সেটির বাস্তবায়ন করা। তিনি বলেন, ‘সঠিকভাবে নারী ফুটবলের পরিচর্যাটা হচ্ছে কি না, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়ান কাপ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে আমরা উঠে গিয়েছি, এটার আলোচনা শেষ। আপনাকে দেখতে হবে এশিয়ান কাপের পর আমরা কোথায় যেতে চাই। আমরা কী করবো, কীভাবে করবো। একটা জিনিস তো প্রমাণ হয়েছে, আমরা এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা রাখি। যদি নারী ফুটবল নিয়ে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া যায়-তাহলে আগামীতেও আমরা এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলবো। প্রশ্নটা হচ্ছে বার বার কেন চূড়ান্ত পর্বে খেলে চলে আসব। এশিয়ান কাপ থেকে আরও অনেক জায়গায় যাওয়ার দুয়ার খুলে যাচ্ছে। আমরা কেন সেই দুয়ার প্রবেশ করতে চাইবো না। আরও বড় মঞ্চে কেন খেলতে চাইবো না।’
আরও বড় মঞ্চ মানে তো মহিলা বিশ্বকাপ ফুটবল, যেখানে এশিয়ান কাপের শীর্ষ ৬ দেশ খেলবে। এরপর রয়েছে অলিম্পিক গেমস ফুটবল, যেখানে ৮ দেশ খেলবে। তাবিথ বলেন, ‘যেটাই হোক। আমি কেন চেষ্টা করবো না। পারবো কি পারবো না, সেটা পরের কথা।’ উদাহরণ দিতে গিয়ে তাবিথ বললেন, ‘মিয়ানমারে এশিয়ান কাপের বাছাই হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ ৩ ম্যাচ জিতেছে। কখনো মিয়ানমারের বিপক্ষে জিতেনি, সেটাও জিতেছে। বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এশিয়ান কাপে উঠেছে। এখন যদি বলি, এই মিয়ানমারে দল পাঠানোর ব্যাপারে আমি কারো কাছে সাড়া পাইনি। আগে একবার মিয়ানমারে দল পাঠানো নিয়ে কী হয়েছিল সেটা নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি আমার সময়ের কথা বলতে চাই। যারা আমাকে বলেছে মিয়ানমারের দল পাঠানোর দরকার নেই। আমি তার উলটো পথে গেলাম। সবার মতামত উপেক্ষা করলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে, নারী ফুটবল দল মিয়ানমারে খেলতে যাওয়া উচিত। সবার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমি দাবি করতে পারি একমাত্র আমি বলেছিলাম মিয়ানমারে দল যাবে এবং কোয়ালিফাই করবে।’
কী কারণে এমন শক্ত অবস্থানে গিয়েছিলেন তাবিথ। তিনি বলেন, ‘আমি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স দেখেছি। তাদের খেলাটা কোথায় কোথায় উন্নতি হয়েছে, উন্নতির গ্রাফটা কতটুক সামনে, আমি কোথায় যেতে চাই, এই পারফরম্যান্স দিয়ে যাওয়া যাবে কিনা। আমি নানা হিসাব করেই সবার বিপক্ষে বলেছিলাম মিয়ানমারে খেলতে যাবো। হেরে যাওয়ার ভয়ে মিয়ানমার যাওয়া যাবে না-এমন অদূরদর্শীতাকে আমি ঠেলে সরিয়ে দিয়েছিলাম। এসব ক্ষেত্রে আপনাকে ঝুঁকি নিতে হবে এবং সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।’
তাবিথের কাছে প্রশ্ন ছিল ২০২২ সালে প্রথমবার নারী সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাই খেলতে যায়নি বাংলাদেশ, কেন? তাবিথ বলেন, ‘আমি শুনেছি পল স্মলি নাকি বলেছিলেন, মিয়ানমার গেলে হেরে যাবে। কোয়ালিফাই করতে পারবে না। যাওয়ার দরকার নেই।’




অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
প্রধান উপদেষ্টা : আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন
পরিচালক, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠাতা, আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন সমাজ কল্যাণ ট্রাস্ট।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
Design and developed by Web Nest