প্রকাশিত: ৬:২৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক : কারফিউ থাকলেও অনেক এলাকার অলিগলিতে খেলতে নেমেছে শিশু-কিশোররা। কেউ খেলছে ক্রিকেট, কেউ আবার খেলছে ফুটবল। নেট বন্ধ থাকায় বয়স্করাও বের হয়েছেন ঘর থেকে। অলিগলিতে কারফিউ চলাকালে সন্ধ্যার পর অথবা কারফিউ শিথিলের সময় বের হচ্ছেন তারা। কুশল বিনিময় করছেন একে অন্যের সঙ্গে। চলমান পরিস্থিতি নিয়েও হচ্ছে আলোচনা। অনেকেই বলছেন, মোবাইল আর ইন্টারনেট যখন এতটা সহজলভ্য হয়নি, সেই সময়েই যেন ফিরে গিয়েছে দেশ। ডিজিটাল সেবা না পাওয়ার ভোগান্তিকে যদি বাদ দিয়ে চিন্তা করা হয় তবে এটাই স্বাভাবিক জীবন বলছেন তারা।
সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন তীব্রতর হলে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টা থেকে সারা দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় অনলাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ও ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম। ফলে আন্দোলন-সংঘর্ষের খবর না পেয়ে ওই রাত থেকেই নেটবিহীন সিলেটে আরও বাড়তে থাকে উদ্বেগ-উতকণ্ঠা। এ অবস্থায় ঘটনার পরের দিনের প্রিন্ট সংবাদমাধ্যম বা পত্রিকা কেনার হিড়িক পড়ে সিলেটের সব জায়গায়। যা বিগত প্রায় ২০ বছরে এমন দৃশ্য সিলেটে দেখা যায়নি বলে মন্তব্য পত্রিকা পাঠকদের।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) সিলেট মহানগরের বন্দরবাজার এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন দৈনিক জালালাবাদ ও নয়া দিগন্ত পত্রিকার রিপোর্টার আবু তোরাব। এ খবর মুখে মুখে ও মুঠোফোনে ছড়িয়ে পড়লে পরদিন শনিবার সকাল থেকেই সিলেটে আরও বাড়ে পত্রিকাগুলোর চাহিদা। তবে জাতীয় শীর্ষ কয়েকটি ও আঞ্চলিক অন্যতম দু-একটি পত্রিকা ছাড়া বাকিগুলো বন্ধ থাকায় দুপুরে মধ্যে বিক্রি হয়ে যায় সবগুলো। দুপুরের পর অনেকেই খোঁজ করে বাজারে পাননি পত্রিকা।
শনিবার দুপুরে সিলেট মহানগরের বন্দরবাজার এলাকার পত্রিকা পয়েন্ট খ্যাত করিম উল্লাহ মার্কেটের সামনে দেখা যায়, সড়কে ৪-৫ হকারকে ঘিরে অন্তত ৩০ জনের ভীড়। সবাই কিনতে চাচ্ছেন নিজেদের পছন্দের পত্রিকা। কিন্তু বেশিরভাগই হচ্ছেন হতাশ। কারণ ইতোমধ্যে প্রায় সব পত্রিকা বিক্রি হয়ে গেছে। দেখতে দেখতে বিক্রি হয়ে গেলো অবশিষ্টগুলোও। সিলেটে একই চিত্র ছিলো রবি, সোম এবং মঙ্গলবারও।
সোমবার দুপুরে বন্দরবাজার থেকে পত্রিকা কেনার সময় সিলেট মহানগরের কালিঘাট এলাকার বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবি মাহফুজুর রহমান বলেন- মনে হচ্ছে আমরা অন্তত দুই যুগ আগে চলে গিয়েছি। ভীড় করে পত্রিকা কেনার এমন দৃশ্য ১৫-২০ বছর আগে দেখা যেতো।
মহানগরের জিন্দাবাজার এলাকার পাবেল বলেন- ১০ বছর ধরে প্রিন্ট সংবাদমাধ্যমের কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। আমি অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রতি ঘণ্টার পাঠক। প্রতি ঘণ্টায় সার্চ করে নিউজ পড়ে নিতাম। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত থেকে ইন্টারনেট না থাকয় আমি যেন নিউজ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। বাধ্য হয়ে এ কয়দিন পত্রিকা কিনেছি বাজার থেকে।
সিলেট মহানগর সংবাদপত্র হকার্স সমবায় সমিতির সভাতি মো. আব্দুল কুদ্দুস মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন- কয়েক দিন ধরে মনে হচ্ছে প্রিন্ট সংবাদমাধ্যম বা পত্রিকার যৌবনকাল ফিরে এসেছে। শুক্রবার থেকে শীর্ষ কয়েকটি পত্রিকা প্রকাশিত হলেও সার্কুলেশন ছিলো বেশি। তবু বিকেলের আগেই সিলেটে সব পত্রিকা বিক্রি হয়ে যেতো। আমাদের পত্রিকা বিপণন বা বিক্রিকারীরাও গত কয়েকদিন বেশ উপভোগ করেছেন বিষয়টি।
তিনি বলেন- নেটবিহীন অবস্থায়ও সিলেটে আঞ্চলিক দুটি পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছে। আর দুদিন থেকে আরেকটি পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest