প্রকাশিত: ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২৪
অনলাইন ডেস্ক : রাজধানী ঢাকা সহ সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮জুলাই) বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কমপ্লিট শাটডাউনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকাসহ সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেশ সহিংস রূপ নেয়। এদিন ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে ৬ জন মারা যান। আহত হন কয়েকশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এ অবস্থায় মঙ্গলবারই সারা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ বুধবার বন্ধ ঘোষণা করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হল ও ক্যাম্পাস ত্যাগ না করার ঘোষণা দিয়েছেন। হলগুলোর ভেতরে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বেশিরভাগ হল থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বের করে দেয়া হয়েছে।
শুরুতে অবস্থান কর্মসূচি, সড়ক অবরোধ, বাংলা ব্লকেডসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে আন্দোলনকারীরা তাদের দাবিদাওয়া জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু কোটা আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক বক্তব্যের পর পরিস্থিতি বদলে যায়।
গত সোমবার দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে মঙ্গলবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। এদিন দুই পক্ষের শক্ত অবস্থানে দুপুরের পর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। দফায় দফায় সংঘাতের এসব ঘটনায় ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং রংপুরে ৬ জন মারা যান এবং আহত হন কয়েকশ মানুষ।
আগের দিন নিহত এসব ব্যক্তিদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল কর্মসূচি পালনে ক্যাম্পাসে জড়ো হয় কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। সেখানে তাদের পাশাপাশি অদূরে ছাত্রলীগ ও পুলিশের অবস্থান উত্তেজনা ছড়ায়। বিশ্ববিদ্যালয় ও হল ছাড়তে না চাওয়া নিয়েও মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হয়।
পরে পুলিশ-র্যাব-বিজিবির লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের মুখে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয়। ক্যাম্পাসের দিকের পরিস্থিতি আস্তে আস্তে শান্ত হয়ে আসে। তবে এদিন বিকালে শনির আখড়ায় শুরু হওয়া দফায় দফায় সংঘর্ষ রাত ৯টার কিছু আগে আবার বাড়তে থাকে। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও কাদুনে গ্যাস আতঙ্ক ছড়ায় সড়কে চলাচলকারী মানুষ ও স্থানীয়দের মধ্যে।
কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সংঘাতের খবরের মধ্যে শনির আখড়ায় সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে বিকাল ৫টার দিকে। সেখানে আশপাশের মানুষ বিক্ষোভ দেখানোর সময় পুলিশের ওপর ‘অতর্কিত হামলা’ চালায়। পরে রাতে দ্বিতীয় দফা সংঘাতের সময় আগুন দেয় টোল প্লাজাসহ আশপাশের বিভিন্ন স্থানে।
আগের দিনের সংঘাতে ছয়জন নিহত হওয়ার পর বুধবার আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী আরো কঠোর হয়। নিয়মিত পুলিশ ও দাঙ্গা দমনে নিয়োজিত পুলিশের পাশাপাশি আর্মড পুলিশ, র্যাব ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংঘাতময় এলাকাগুলোতে দেখা গেছে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest