প্রকাশিত: ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক : ‘চেয়েছিলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার’ স্লোগান দিয়ে মধ্যরাতে বেরিয়ে পড়লেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি হলের নারী শিক্ষার্থী ও তিনটি হলের ছেলে শিক্ষার্থীরাও। পাশাপাশি মিছিল নিয়ে বের হয়েছে ছাত্রলীগও।
ফলে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মিফতা উজ জামান জানান, রোববার রাত সাড়ে বারোটার দিকে মেয়েদের তিনটি হল থেকে নারী শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিয়ে বেরিয়ে আসলে ক্যাম্পাসে ছেলে শিক্ষার্থীরাও তাদের সাথে যোগ দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় ‘শিক্ষা ভবন ডি’র সামনে আসলে মুখোমুখি অবস্থান হয় কোটা সংস্কারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ও ছাত্রলীগ। এসময় ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া মিছিল দিতে থাকেন।
পরে মিছিল নিয়ে শাহপরান হলের দিকে যেতে চাইলে ছাত্রলীগের কিছু সদস্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। শিক্ষার্থীদের দাবি হামলায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে দেলোয়ার হোসেন শিশির মারাত্মকভাবে মাথায় ও মুখে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
পরে তারা মিছিল নিয়ে শাহপরান হলের সামনে এসেও ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে গিয়ে আবারও স্লোগান দেন।
এর আগে আনুমানিক রাত ১১টার দিকে সৈয়দ মুজতবা আলী হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছেলে শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ স্লোগান নিয়ে বেরিয়ে আসলে শাহপরান হল থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি খলিল ও সাধারণ সম্পাদক সজীবের নেতৃত্বে পাল্টা মিছিল নিয়ে বের হয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিলে তারা দুই হলের মাঝ রাস্তা থেকে ফিরে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালে একটি অ্যাম্বুলেন্স যেতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা অ্যাম্বুলেন্সটি পার করে দিতে চাইলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে আন্দোলনে অংশ নেওয়া ৫ থেকে ৬ জন ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সন্ধ্যায় গোলচত্বরে তারা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেন। এ সময় ছাত্রলীগের ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মী এসে গোলচত্বর এলাকায় অবস্থান নেয়। তারা ছাত্রীদের হলে ফিরে যাওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকে। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করে। এতে ৫/৬ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমেদ ও প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আলমগীর কবিরের হস্তক্ষেপে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সরে যায় বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পরেও শিক্ষার্থীরা ফের সংঘটিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest