প্রকাশিত: ১০:২৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক : টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে চলতি বছর তিন দফা বন্যার কবলে পড়ে সিলেট। সিলেট ছাড়াও মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যাকবলিত হয়েছে। এর মধ্যে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
ফলে শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বন্যাকবলিত জেলার শিক্ষার্থীরা। আর অভিভাবকরা বলছেন, সর্বনাশা বন্যার কারণে ক্লাস-পরীক্ষা না হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে তাদের সন্তানরা।
সিলেটে গত ২৭ মে আগাম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দুই সপ্তাহব্যাপী স্থায়ী এ বন্যায় পানিবন্দী ছিলেন জেলার ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। প্রথম বন্যার পানি পুরোপুরি নামার আগেই ১৫ জুন ফের বন্যা হয় সিলেটে। বিশেষ করে ঈদুল আযহার দিন ভোররাত থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার অতিভারী বর্ষণে মহানগরসহ সিলেটের সব উপজেলায় লাখ লাখ মানুষ হয়ে পড়েন পানিবন্দী। পরবর্তী এক সপ্তাহ সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ছিলো ভয়াবহ। এরপর পানি নামতে শুরু করে। তবে সে গতি ছিলো খুব ধীর। দ্বিতীয় দফা বন্যা শেষ হওয়ার আগেই গত ৩০ জুন সিলেটে ধাক্কা দেয় তৃতীয় দফা বন্যা। দুদিনের মাথায় আবারও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়ে জেলার সব উপজেলার অন্তত ১০ লাখ মানুষ হয়ে পড়েন পানিবন্দী। বর্তমানে প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।
সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এবার কয়েক দফা বন্যার কারণে জেলায় ৩৯৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে ৭৮টি। এছাড়া কয়েকটি কলেজে পানি উঠে যাওয়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, ১ হাজার ৪৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৯৮টিতে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে সিলেট সদর উপজেলায় ৩৭টি, বিশ্বনাথে ২টি, বালাগঞ্জে ৫৫টি, ফেঞ্চুগঞ্জে ৩২টি, গোলাপগঞ্জে ২৭টি, বিয়ানীবাজারে ৫৪টি, জকিগঞ্জে ২৩টি, কানাইঘাটে ৪টি, জৈন্তাপুরে ৩টি, গোয়াইনঘাটে ২টি, কোম্পানীগঞ্জে ৬৫টি, দক্ষিণ সুরমায় ২২টি ও ওসমানীনগরে ৭২টি বিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া ৭৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
বন্ধ ঘোষিত ৩৯৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। আর বাকিগুলো পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খুরশেদ আলম জানিয়েছেন, জেলার বন্যাকবলিত পাঁচটি উপজেলার ৯৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ আছে। পাশাপাশি কিছু বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা যায়নি।
প্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলে জেলার ২৯৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বন্যাকবলিত এলাকার বেশিরভাগ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ষান্মাসিক পরীক্ষা স্থগিত রেখেছে মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বন্যার কারণে জেলার ২৩৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও বন্যাকবলিত এলাকার ৫৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বন্যার কারণে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ষান্মাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। তবে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest