‘ভুয়া স্বামী’ হয়ে ৬ বছর ধরে ঘর-সংসার, অতঃপর…

প্রকাশিত: ৯:৩১ অপরাহ্ণ, মে ৬, ২০২৪

‘ভুয়া স্বামী’ হয়ে ৬ বছর ধরে ঘর-সংসার, অতঃপর…

অনলাইন ডেস্ক : শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় প্রতারণামূলকভাবে ‘ভুয়া স্বামী’ হয়ে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে এক নারীকে নিয়ে ঘর-সংসার করেন জহুরুল ইসলাম সুজন। বিষয়টি জানতে পেরে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী।

 

দীর্ঘদিন ধরে গরিব অসহায় গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি জহুরুল ইসলাম সুজনকে (২৫) ঢাকা জেলার শাহআলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি ১, জামালপুর।

 

মো. জহুরুল ইসলাম সুজন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কিল্লাপাড়া গ্রামের কাইয়ুম আলীর ছেলে। তাকে নালিতাবাড়ী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

র‌্যাব-১৪ এর দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসামি জহুরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে ৬ বছর আগে ভুক্তভোগী নারীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয় এবং একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে আসামি ঢাকার সাভারে নবীনগর এলাকায় অপরিচিত একজন মুরুব্বিকে কাজী সাজিয়ে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ভুক্তভোগী ওই নারীকে বিয়ে করে এবং একটি নীল কাগজে স্বাক্ষর নেয়।

 

এরপর ভিকটিমের সঙ্গে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কিল্লাপাড়ায় আসামির বসতবাড়িতে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঘর সংসার করে। ফলে ভুক্তভোগীর গর্ভে এবং আসামির ঔরসে এক ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এ অবস্থায় ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর আসামি জানায়, ভুক্তভোগীর সঙ্গে তার কোনো বিয়ে হয়নি। লোক দেখানো ভুয়া নিকাহ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে স্বাক্ষর নিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে প্রতারণামূলকভাবে বিয়ের বিশ্বাস স্থাপন করে স্বামী-স্ত্রীর বিশ্বাস জন্মিয়ে সম্মতি আদায় করে ক্রমাগত ধর্ষণ করেছে।

 

ভুক্তভোগী ওই নারী আদালতে মামলা করলে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। পরে এ বছরের ২৫ জানুয়ারি নালিতাবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি এফআইআর করা হয়।