সনদ বাণিজ্য: কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে

প্রকাশিত: ৯:০২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২৪

সনদ বাণিজ্য: কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে

অনলাইন ডেস্ক : কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী মোছা. সেহেলা পারভীনকে (৫৪) রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

 

মঙ্গলবার দুদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মো. আমিরুল ইসলাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

 

অপরদিকে আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহর আদালত এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে জামিন শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন ধার্য করেন। এর আগে গত রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

ওই দিন আদালতে পুলিশের দেওয়া রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এ মামলায় গ্রেফতার আসামি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট একেএম শামসুজ্জামানকে পরিদর্শন শাখা থেকে কম্পিউটার সেলের সিস্টেম এনালিস্ট হিসেবে পোস্টিংয়ের জন্য সাড়ে ৫ লাখ টাকা এবং পরবর্তীতে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করলে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না মর্মে তিন লাখ টাকা সেহেলা পারভীনকে দিয়েছেন।

 

এ মর্মে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন একেএম শামসুজ্জামান।

 

পরবর্তীতে গত ২০ এপ্রিল সেহেলা পারভীন জিজ্ঞাসাবাদে একেএম শামসুজ্জামানের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন ও পোস্টিং সংক্রান্ত সাড়ে ৫ লাখ টাকার কথা কৌশলে এড়িয়ে যান।

 

সেহেলা পারভীনের স্বামী মো. আলী আকবর খান কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ায় তার স্বামীর মাধ্যমে আসামি একেএম শামসুজ্জামানকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন লাখ টাকা গ্রহণ করেছিলেন বলে স্বীকার করেন।

 

সেহেলা পারভীনের সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতি পেয়ে আসামি একেএম শামসুজ্জামান নির্ভয়ে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে দেশব্যাপী বিভিন্ন সার্টিফিকেট প্রত্যাশীদের কাছে বিক্রি করে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছেন। মামলার ঘটনার সঙ্গে আসামি সেহেলা পারভীনের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন