সুনামগঞ্জে কালবৈশাখি ঝড়ে পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড

প্রকাশিত: ৩:০৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০২৪

সুনামগঞ্জে কালবৈশাখি ঝড়ে পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড

সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে অন্তত পাঁচ শতাধিক বসতঘর-দোকানপাট ভেঙে গেছে। আশ্রয় হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন বহু মানুষ। আর সড়কে গাছপালা ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক হাজার গ্রাহক।

 

রোববার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় ঝড়ের তাণ্ডবে সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় কাঁচা ও টিনের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। তবে ঝড়ের কবলে পড়ে কোনো হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও শিশুসহ -নারী ও পুরুষ প্রায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

 

রোববার রাতের তাণ্ডবে শুধু শান্তিগঞ্জ উপজেলার সদরপুর, আস্তমা,চন্দ্রপুর, রায়পুর, ইনাতনগর, তালুকগাঁও, পাগলাসহ বেশ কিছু এলাকার অন্তত পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর ও দোকান লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এ সময় শত শত গাছ-পালা ভেঙে পড়েছে। মানুষরা ঘরের ভেতর থেকে কোনোমতে প্রাণ নিয়ে বের হয়ে মসজিদ ও স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে পরিবার আর সন্তানদের নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন অনেকেই। আর ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে হতদরিদ্রদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

 

ঝড়ের পরে রাত থেকেই খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন। যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের অনেকেই রাতেও সেহরির খাওয়ার খেতে পারেননি। ঝড়ের কবলে পড়ে আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে হাসপাতাল ও বিভিন্ন ফার্মেসীতে ভিড় করছেন। মানুষের এমন পরিস্থিতিতে চারদিকে হৃদয় বিদারক মূহুর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।

 

শান্তিগঞ্জ উপজেলার আস্তমা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা রায়হান চৌধুরী বলেন, এতো শিলা বৃষ্টি আর তুফানে আমাদের যে ক্ষতি করেছে আমরা কিভাবে সামাল দিবো বুঝে উঠতে পারছি না। তাও আল্লাহের কাছে শুকরিয়া ঝড়ের সময় ঘর থেকে বের হয়ে চাচার বিল্ডিং এ উঠায় প্রাণে বেঁচে গেছি।

 

হেলাল উদ্দিন নামের আরেকজন বাসিন্দা বলেন, রাতে  ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের উপজেলার পাঁচশত বাড়ি ঘর ভেঙে গেছে। ঝড়টা যেদিকেই গেছে সেদিকের সকল গাছপালা, বাড়ি-ঘরের টিন উড়িয়ে নিয়ে গেছে। শত শত মানুষ অসহায় হয়েছে গেছে। আমরা এখন সরকারে কাছে সহযোগীতা চাই। নয়তো আমরা সাধারণ গরীব মানুষ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবো না।

 

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০ মোট্টিকটন জিয়ার চাল ও ঢেউটিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনবার্সনে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগীতা করা হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন