চা জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বেসরকারি সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে : জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত: ১০:১০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০২৪

চা জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বেসরকারি সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে : জেলা প্রশাসক

নিউজ ডেস্ক : চা জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসার আহŸান জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। তিনি বলেন, চা-শ্রমিক জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে হলে তাঁদের স্থানীয়ভাবে প্রাপ্য বিভিন্ন সরকারি সেবা এবং শ্রমিক হিসেবে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। তিনি একডো কর্তৃক চা-জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য পরিচালিত এ প্রকল্পকে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এসময় তিনি চা-জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সকলকে পাশে থাকার আহবান জানান।

 

আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) স্থানীয় বেসরকারী সংস্থা এথনিক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (একডো)-এর উদ্যোগে ‘লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট অব টি গার্ডেন ওমেন ওয়ার্কার অন দেয়্যার রাইটস্’ শীর্ষক প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত এই সভাটি আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা অক্সফাম ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহযোগিতায় একডো কর্তৃক পরিচালিত হয়।

 

একডো’র নিবার্হী পরিচালক লক্ষীকান্ত সিংহের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফারজানা আক্তার মিতা, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রফিক, অক্সফামের প্রোগ্রাম অফিসার খাদেজা আক্তার অন্তরা, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহিনা আক্তার, সিলেটের সুজন সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবির। অন্যদের মধ্যে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক ফয়সল আহমদ বাবলু উপস্থিত ছিলেন।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফারজানা আক্তার মিতা বলেন, একডো কর্তৃক গৃহীত এ প্রকল্পটি চা জনগোষ্ঠীর নারীদের ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে। অক্সফাম প্রতিনিধি খাদেজা আক্তার অন্তরা বলেন, এ্যামপাওয়ারিং ওমেন থ্রো সিভিল সোসাইটি এ্যাকটর প্রকল্পের অধীনে দেশে বর্তমানে মোট ২০ টি সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন কাজ করছে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় এথনিক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (একডো) ‘লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট অব টি গার্ডেন ওমেন ওয়ার্কার অন দেয়্যার রাইটস শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে সিলেট জেলার সদর উপজেলার দলদলি, কেওয়াছড়া ও হিলুয়াছড়া চা বাগানের নারী চা শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্ব বিকাশে কাজ করবে।

 

সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মো. আব্দুর রফিক বলেন, ক্ষমতায়নমূলক প্রকল্পের পাশাপাশি চা শ্রমিকদের জন্য আয়বর্ধনমূলক কার্যক্রমের দিকে জোর দিতে হবে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের শাহিনা আক্তার বলেন,সরকারের সকল প্রকার আইন ও সেবা দেশের অন্যান্য নাগরিকের মতো চা শ্রমিকদেরও সমানভাবে পাবার অধিকার আছে।

 

একডো’র নিবার্হী পরিচালক লক্ষীকান্ত সিংহ বলেন, চা বাগানের নারী শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন ও তাদের নেতৃত্ব বিকামের জন্য গৃহীত এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সকলের একান্ত সহযোগিতা প্রয়োজন। নারী চা শ্রমিকদেকে সুষ্ঠু কর্ম পরিবেশ এবং স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পরিষেবা সর্ম্পকে সচেতন করার জন্যই এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

 

সভায় প্রকল্প এলাকা দলদলি, হিলুয়াছড়া এবং কেওয়াছড়া চা-বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতিসহ বিভিন্ন শ্রমিক প্রতিনিধিগণও উপস্থিত সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন