স্যার ১০ লাক্ষ টাকা মিষ্টি খেতে নেন, আমি ছাড়া কেউ জানবে না

প্রকাশিত: ৮:০৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০২৪

স্যার ১০ লাক্ষ টাকা মিষ্টি খেতে নেন, আমি ছাড়া কেউ জানবে না

ছবি সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালামকে হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছেন এক তরুণী। ক্ষুদে বার্তায় চাকরি দেয়ার বিনিময়ে দশ লক্ষ টাকার প্রস্তাব।

 

মঙ্গলবার ২৬ মার্চ বেলা ১১ টার দিকে চাকরি দেওয়ার জন্য প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন এবং পরে মিষ্টি খেতে দশ লক্ষ টাকা পাঠানোর প্রস্তাব জানিয়ে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছেন ওই তরুণী। হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে ওই ফোন নাম্বারটি দেখা যায় মিথি নামে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

 

ক্ষুদে বার্তায় ওই তরুণী লিখেন, ‘স্যার, ১০ লাখ মিষ্টি খেতে নেন, এটা আপনি আর আমি ছাড়া কেউ জানবে না, ইনশাআল্লাহ, আমার সত্যিই ওখানে কেউ নেই, প্লিজ স্যার চাকরিটা খুব দরকার।’

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, আনুমানিক বেলা ১১ টার দিকে উপাচার্যকে ফোন দিয়ে একটি অপরিচিত মেয়ে যোগাযোগ করতে চান। উপাচার্যের সাড়া না পেয়ে মেয়েটি বার্তা পাঠায় যে, যদি তাকে চাকরি দেয়া হয় তাহলে ১০ লক্ষ টাকা দিবে। এর পরেই আমরা ইবি থানায় একটি জিডি করি যাতে ভবিষ্যতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি প্রকাশ হলেও কোনো সমস্যা না হয়।

 

এবিষয়ে ইবি থানার এসআই মেহেদী হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার একটি জিডি করেছেন। জিডির নাম্বার ১০২১। আমরা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে এবিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

 

এ প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেন, এক নারী হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়, পরিচয় কি? কি বিষয়ে কথা বলতে চান? জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাকরির বিষয়ে। তখন আমি বললাম চাকরির বিষয়ে আমি কোনো কথা বলি না। তখন তিনি বলেন, চাকরিটা আমার খুব দরকার। পরে আমি ফোন কেটে দিলে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে চাকরির বিনিময়ে মিষ্টি খেতে দশ লক্ষ টাকার প্রস্তাব দেন।

 

আব্দুস সালাম বলেন, আমার ধারণা এটা কোনো একটা সংঘবদ্ধ চক্রের কাজ। আমাকে ফাঁদে ফেলার জন্য তারা এটা করতে পারে। তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আগে যে তৎপরতা চালিয়েছে এ ফোনকল তারই অংশ হতে পারে। আমি রেজিস্ট্রারকে তাৎক্ষণিক থানায় জিডি করতে বলেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

 

উপাচার্য আরও বলেন, আবারও বলছি আমি কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না। আমার সময়ে সকল নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে দিয়েছি। যে যোগ্য তাকে নিয়োগ দিয়েছি।

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন