বেইলি রোডে মারা গেলেন যারা, ৪১ জনের পরিচয় শনাক্ত

প্রকাশিত: ১২:৩২ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২৪

বেইলি রোডে মারা গেলেন যারা, ৪১ জনের পরিচয় শনাক্ত

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৪১ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। বাকি ৫ জনের ডিএনএ টেস্ট করা হবে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত লাশ হস্তান্তর করা হযেছে ৪১ জনের।

 

যাদের শনাক্ত করা হয়েছে তারা হলেন—

 

১. ফৌজিয়া আফরিন রিয়া (২২), পিতা: কুরবান আলী; কাকরাইল, ঢাকা।

 

২. পপি রায় (৩৬), পিতা: প্রলেনাথ রায়, মা: বাসনা রানী রায়; ২১৬ মালিবাগ, শান্তিবাগ, ঢাকা।

 

৩. সম্পনা পোদ্দার (১১), পিতা: শিপন পোদ্দার, মা: পপি রায়; সূত্রাপুর, দয়াগঞ্জ, ঢাকা।

 

৪. আশরাফুল ইসলাম আসিফ (২৫), পিতা: মৃত জহিরুল ইসলাম; উত্তর গোড়ান, খিলগাঁও, ঢাকা। গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা।

 

৫. নাজিয়া আক্তার (৩১), পিতা: মোহাম্মদ আলী, মা: নাজনীন আক্তার বেবি; ১৪ আরামবাগ, ঢাকা।

 

৬. আরহাম মোস্তফা আহামেদ (৬), পিতা: আশিক, মা: নাজিয়া আক্তার; ১৪ আরামবাগ, ঢাকা।

 

৭. নুরুল ইসলাম (৩২), পিতা: মুসলেম; বংশাল, বেচারাম দেউড়ি, ঢাকা।

 

৮. সম্পা সাহা (৪৬), পিতা: জয়ন্ত কুমার পোদ্দার; নবীপুর, মুরাদনগর, কুমিল্লা।

 

৯. শান্ত হোসেন (২৪), পিতা: আমজাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ, ফতুল্লা।

 

১০. মায়শা কবির মাহি (২১), পিতা: কবির খান, (তাৎক্ষণিকভাবে ঠিকানা জানা যায়নি)

 

১১. মেহেরা কবির দোলা (২৯), পিতা: কবির খান, মতিঝিল এজিবি কলোনি, ঢাকা।

 

১২. জান্নাতি তাজরিন নিকিতা (২৩), পিতা: গোলাম মহিউদ্দিন; আর্কিট হাউজ, শান্তিনগর, কাকরাইল। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

 

১৩. লুৎফুর নাহার করিম (৫০), মা: জহুরা ইসলাম; রমনা সার্কিট হাউজ, ঢাকা। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষিকা।

 

১৪. মোহাম্মদ জিহাদ (২২), পিতা: জাকির হোসেন; পূর্বচর আলিমবাগ, কালকিনি, মাদারীপুর।

 

১৫. কামরুল হাসান (২০), পিতা: কবির হাসান; যশোর সদর উপজেলার মধ্যপাড়া।

 

১৬. দিদারুল হক (২৩), পিতা: মাইনুল হক; উত্তর পাড়া, ভোলা সদর।

 

১৭. অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম (৬৫), পিতা: ফজলুল রহমান; কুলাউড়া, মৌলভীবাজার। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা নেতা।

 

১৮. মেহেদী হাসান (২৭), পিতা: মোয়াজ্জেম মিয়া; মির্জাপুর, টাঙ্গাইল।

 

১৯. নুসরাত জাহান শিমু (১৯), পিতা: আব্দুল কুদ্দুস; হাতিগাড়া, কুমিল্লা সদর, কুমিল্লা।

 

২০. সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা (১৬), পিতা: সৈয়দ মোবারক কাউসার; ৩৭৭ মগবাজার, মধুবাগ, ঢাকা। গ্রামের বাড়ি শাহবাজপুর, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। একই পরিবারের পাঁচ জন নিহত।

 

২১. সৈয়দ আব্দুল্লাহ (৮), সৈয়দ মোবারক কাউসার (ভাই)। (তাৎক্ষণিকভাবে ঠিকানা জানা যায়নি)।

 

২২. স্বপ্না আক্তার (৪০), আব্দুল্লাহর মা। (তাৎক্ষণিকভাবে ঠিকানা জানা যায়নি)।

 

২৩. সৈয়দ মোবারক কাউসার (৪৮), পিতা: সৈয়দ আবুল কাশেম; ইতালি প্রবাসী ছিলেন।

 

২৪. সৈয়দা আমেনা আক্তার নুর (১৩), সৈয়দ মোবারক কাওসার। শাহাবাজপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। বাবা ইতালি প্রবাসী ছিলেন।

 

২৫. জারিন তাসনিম প্রিয়তি (২০), পিতা: আওলাদ হোসেন; বিনোদপুর, মুন্সিগঞ্জ সদর।

 

২৫. জুলেল গাজী (৩০), পিতা: ইসমাইল গাজী; গুলশান মডেল টাউন, বাড্ডা, ঢাকা।

 

২৬. প্রিয়াংকা রায় (১৮), পিতা: উত্তম কুমার রায়, মা: রুবিয়া রায়। ১৩৪, মালিবাগ প্রথম লেন, শাহজাহানপুর।

 

২৭. রুবি রায় (৪৮), স্বামী: উত্তম কুমার রায়।

 

২৮. তুষার হাওলাদার (২৩), পিতা: দিনেশ চন্দ্র হাওলাদার; ঝালকাঠি, কাঠালিয়া উপজেলার তালগাছিয়া। বর্তমানে খিলগাঁওর গোড়ানে বসবাস করতেন। চাকরি করতেন একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে।

 

২৯. কে এম মিনহাজ উদ্দিন (২৫), পিতা: ওয়ালিউল্লাহ খান, চাঁদপুর সদর উপজেলার ইসলামপুর গ্রাম। তিন ভাই। বর্তমানে মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় থাকতেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন, একটি আইটি ফার্মে চাকরি করতেন।

 

৩০. সাগর (২৪), পিতা: তালেব প্রামাণিক, জেলা: ফরিদপুর। সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে চাকরি করতেন।

 

শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে রাখা ১০ মরদেহের পরিচয়

 

৩১. তানজিলা নওরিন (৩৫), পিতা: নুরুল আলম, পিরোজপুর সদর।

 

৩২. শিপন (২১), পিতা: ফজর আলী, শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার কালারচর।

 

৩৩. আলিসা (১৩), পিতা: ফোরকান; কালারচর, রমনা, ১০৪ কাকরাইল।

 

৩৪. নাহিয়ান আমিন (১৯), পিতা: রিয়াজুল আমিন, বরিশাল সদর কাউনিয়া। বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র।

 

৩৫. সংকল্প সান (৮), পিতা: শিপন পোদ্দার, যাত্রাবাড়ী, ২৬/সি দয়াগঞ্জ জেলেপাড়া।

 

৩৬. লামিশা ইসলাম (২০), পিতা: নাসিরুল ইসলাম, রমনা, মালিবাগ। পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজির মেয়ে।

 

৩৭. মো. নাঈম (১৮), পিতা: মো. নান্টু, বরগুনা।

 

৩৮. অভিশ্রুতি শাস্ত্রী (২৫), দা রিপোর্ট ডটকম নিউজপোর্টালের রিপোর্টার।

 

বার্ন ইনস্টিটিউট ও ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি যারা

 

বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন—ফয়সাল আহমেদ (৩৮), সুজন মণ্ডল (২৪), প্রহিত (২৫), আবিনা (২৩), রাকিব হাসান (২৮), কাজী নাওশাদ হাসান আনান (২০), আজাদ আবরার (২৪), মেহেদী হাসান (৩৫), রাকিব (২৫) ও সুমাইয়া( ৩১)। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ইকবাল হোসেন (২৪) ও যোবায়ের (২১)।

 

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেদায়েতুল ইসলাম জানিয়েছেন, ৪৬টি মৃতদেহের মধ্যে ৪১টি শনাক্ত হয়েছে। ৩৮ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন