নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাব পাশ ‘অসাংবিধানিক’

প্রকাশিত: ৩:০৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৬, ২০২৪

নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাব পাশ ‘অসাংবিধানিক’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচনের আর মাত্র এক মাস বাকি। নির্বাচনের পূর্ণ প্রস্তুতির মধ্যে সিনেটের নতুন প্রস্তাব পাশ দেশটির জাতীয় নির্বাচনকে আবারও অনিশ্চয়তার মুখে ফেলেছে। শুক্রবার দেশটির জাতীয় নির্বাচন পেছানোর একটি প্রস্তাব সিনেটে পাশ করা হয়েছে। প্রস্তাবটি তুলেছিলেন সিনেটর দিলওয়ার খান।

আইনসভায় উপস্থিত বেশিরভাগ আইনপ্রণেতা এটি অনুমোদন করেছেন। এরপর থেকেই শুরু হয় বিভ্রান্তি। শনিবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়েছে, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে সিনেটের প্রস্তাবের সমালোচনা করেছে। নির্বাচন বিলম্বের বিরোধিতায় এক স্লোগানে নেমেছে সব দল। অবাধ্যতামূলক এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দলগুলো বলেছে, নির্বাচনি প্রক্রিয়াটিকে আরও পিছিয়ে দেওয়া হবে অসাংবিধানিক। জিউও টিভি, ডন।

 

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর খান সাধারণ নির্বাচন বিলম্বিত করার জন্য সিনেটের প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করেছেন। পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় গণমাধ্যমের এক বিবৃতিতে এটিকে সাংবিধানিক নীতি ও গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ বলেও নিন্দা করেছে। তিনি সুপ্রিমকোর্টকে অবিলম্বে নির্বাচনি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা অথবা সময়কে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সিনেটে প্রস্তাব অনুমোদনের নিন্দা জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর (জেআই) আমির সিরাজুল হক বলেছেন, প্রস্তাবটি দেশ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সময়মতো নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব। তার দল ৮ ফেব্রুয়ারি দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় বলেও জানান তিনি।

 

এদিকে, পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি হাইলাইট করেছেন, সাধারণ নির্বাচন আট থেকে ১০ দিন বিলম্বিত হলে, তাতে কোনো পার্থক্য হবে না। অথচ তারই দল তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেছে, তারা নির্বাচন বিলম্বের বিষয়ে সিনেটের প্রস্তাবকে সমর্থন করে না। পিপিপির সিনিয়র নেতা শেরি রেহমান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নির্বাচন পেছানো উচিত নয়। আমরা একেবারেই নির্বাচনের বিলম্ব সমর্থন করি না। সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলের অবস্থানের ওপরও জোর দেন তিনি।

 

দেশটিতে যথাসময়ে (৮ ফেব্রুয়ারি) সাধারণ নির্বাচনের দাবিতে শনিবার সিনেটে একটি নতুন প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। জেআই সিনেটর মোশতাক আহমেদ খান সিনেট সচিবালয়ে এ নতুন রেজ্যুলেশনটি জমা দেন। যেখানে সময়মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। রেজ্যুলেশনটি সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বানও জানানো হয়েছে।