ইসরাইলি হামলায় পঙ্গু ৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি

প্রকাশিত: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩

ইসরাইলি হামলায় পঙ্গু ৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যের সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের নৃশংস হামলায় গাজা এখন বিধ্বস্ত নগরী। অবরুদ্ধ এ ছোট্ট জনপদ এখন মৃত্যুনগরী! পথে পথে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে লাশ। ধ্বংসস্তূপের চাপায়ও পড়ে আছে অসংখ্য লাশ।

 

কপাল জোরে যারা এখনো জীবিত, তারা আর কতদিন বেঁচে থাকবেন তার নিশ্চয়তা নেই! মাথার উপরের পলকে পলকে পাক খাচ্ছে মৃত্যু পরোয়ানা। অনেকেই আবার বেঁচে থেকেও ক্ষত-বিক্ষত হাত-পা নিয়েই পঙ্গু হয়ে পড়ে আছেন মৃত্যুপুরীতেই। কারও হাত আছে তো পা নেই। কারও পা আছে তো চোখ নেই। কারও কারও মুখ থেঁতলে গেছে।

 

বিভীষিকাময় জীবন নিয়েই পার করতে হচ্ছে দিন। ইসরাইলের পরিকল্পিত বর্বরতার শিকার হয়ে অঙ্গ হারাচ্ছেন অনেকেই। দিন দিন বেড়েই চলেছে এসব মানুষের সংখ্যা।

 

জেনেভাভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটর এবং প্রতিবন্ধী প্রতিনিধি ব্যক্তি নেটওয়ার্ক (ডিআরপিএন) জানিয়েছে, ইসরাইলের চলমান হামলায় ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৫ হাজারেরও বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনি পঙ্গু হয়ে গেছে।

 

মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা দুটির সাম্প্রতিক ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরাইলের নৃশংস হামলা ও জোরপূর্বক উচ্ছেদ নীতি গাজা উপত্যকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ওপর বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলেছে। প্রতিবন্ধী ফিলিস্তিনিরা। শারীরিকভাবে অক্ষম এ মানুষগুলো ইসরাইলের বিরামহীন তীব্র আক্রমণ থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য সহজে নিরাপদেও যেতে পারে না।

 

আবার যাদের মানসিক, দৃষ্টিশক্তি অথবা শ্রবণ প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তারা চার পাশে কী ঘটছে তা শুনতে বা বুঝতেও পারছেন না। ফলে নিজেদের জীবন বাঁচাতে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এটি তাদের ভয়কে আরও বাড়িয়ে তোলে। অসহায় গাজায় তাদের নিরাপত্তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আশ্রয়ের জন্য উপযোগী কোনো ঘর নেই।

 

ইউরো-মেড মনিটর এবং ডিআরপিএন উল্লেখ করেছে, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য শারীরিকভাবে উপযুক্ত নয়। ইসরাইলি বাহিনী প্রতিবন্ধীদের পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে। যেগুলোর বেশির ভাগই ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোর সরবরাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

 

হুমকির মধ্যে পড়েছে ক্ষত-বিক্ষত হওয়া মানুষগুলো। দশকের পর দশক ধরে ইসরাইলের বর্বর এসব হামলার কারণে আগে থেকেই গাজায় এক লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ পঙ্গু ছিল। ২০০৬ সাল থেকে গাজায় ইসরাইলের অবৈধ অবরোধের কারণে তারা হুইলচেয়ার, ক্র্যাচ এবং কৃত্রিম অঙ্গগুলোর মতো সহায়ক ডিভাইসের অভাবে ভুগেছেন। পাশাপাশি অপর্যাপ্ত পুনর্বাসন কর্মসূচির ফলে অত্যন্ত কঠিন জীবনযাত্রা সহ্য করেছেন।

 

৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। যাদের মধ্যে ৭০ শতাংশেরও বেশি নিরীহ শিশু ও নারী। অন্যদিকে ইউরো-মেড মনিটর জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের তীব্র বিমান ও কামান হামলায় ২৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। যার মধ্যে ৯ হাজার ৭৭ শিশু রয়েছে। ধ্বংসস্ত‚পের নিচে আটকে পড়ে থাকায় শিশু মৃত্যুর মোট সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

মানবাধিকার দলের প্রাথমিক পরিসংখ্যান আরও ইঙ্গিত করেছে, আহতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ঘরবাড়ি হারিয়েছে ৬ লাখ ৬৪ হাজার মানুষ। ইসরাইল জানিয়েছে, সংঘর্ষে ৭ হাজার হামাস যোদ্ধা শহিদ হয়েছেন।

 

এদিকে শনিবার ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধে ৫ হাজারেরও বেশি ইসরাইলি সেনা আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশের অঙ্গচ্ছেদ করার প্রয়োজন হতে পারে। কেউ কেউ প্লিহা, কিডনি এবং অন্যান্য বড় অঙ্গহানির শিকার হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, আমরা আগে কখনো এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি।

 

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন ৬০ জন সেনা আহত হয়েছেন। ইসরাইলের উপমহাপরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসন বিভাগের প্রধান লিমোর লুরিয়া স্থানীয় গণমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনোথকে এ কথা জানান, আহতদের মধ্যে কমপক্ষে ২ হাজার সেনাকে স্থায়ীভাবে অক্ষম ঘোষণা করা হয়েছে।

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন