প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে স্তন ক্যানসার নিরাময় সম্ভব

প্রকাশিত: ৩:০২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২৩

প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে স্তন ক্যানসার নিরাময় সম্ভব

অনলাইন ডেস্ক : দেশে প্রতি বছর ১২ থেকে ১৫ হাজার নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে। এ রোগে বছরে প্রায় আট হাজারের মতো নারী মারা যাচ্ছে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটি শনাক্ত হলে নিরাময় সম্ভব। আর এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করতে পারে।

 

বুধবার জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত স্তন ক্যানসার সচেতনতায় গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অতিরিক্ত কর কমিশনার আয়েশা সিদ্দিকা শেলী।

 

তিনি বলেন, দেশে প্রতি আটজন নারীর মধ্যে একজন স্তন ক্যানসার বহন করে। রোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করা গেলে তা সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রোগ নির্ণয় হচ্ছে একেবারে শেষে তথা চতুর্থ স্তরে গিয়ে। ৩০ বছরের পর থেকে নারীরা স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিতে থাকেন। স্তন ক্যনসার আক্রান্ত নারী মানসিক, সামাজিক ও ব্যক্তি পর্যায়ে সমস্যায় পড়েন। এজন্য স্ক্রিনিং জরুরি হয়ে পড়েছে।

 

ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এ জেড মাহমুদুল হাসান বলেন, মায়েরা এখনো স্তন শব্দটা উচ্চারণ করতেই লজ্জাবোধ করেন। অথচ প্রত্যেক নারীর ২০ বছর বয়স থেকেই নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করা উচিত। স্তনে কোনো চাকার মতো দেখা গেলেই তা ক্যানসার নয়, এটি চর্বির কারণে হতে পারে। তবে বুকের চামড়ায় কোনো ধরনের পরিবর্তন দেখতে পেলে চিকিৎসকের কাছে যাবেন।

 

ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জুবায়দা বাহারুন খান বলেন, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সেখানেও রোগটি শনাক্ত করা যায় গণমাধ্যম তা প্রচার করতে হবে।

 

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নূরুন নাহার হেনা বলেন, দেশে মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। কিন্তু অনেক নারী জানেন না স্তন ক্যনসার প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করতে তিনি নিজেই যথেষ্ট। স্তন ক্যানসার চিকিৎসায় একটি সরকারি হাসপাতাল দরকার।