নগরী থেকে যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, থানায় অভিযোগ দায়ের

প্রকাশিত: ৪:৩৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০২৪

নগরী থেকে যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, থানায় অভিযোগ দায়ের

নিউজ ডেস্ক ::সিলেট নগরীতে মো. আজিজুর রহমান (৩৯) নামের এক যুবককে অপহরণ করে ৫ লক্ষাধিক টাকা মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাছাড়াও তার পরিবারের কাছে থাকা সই করা কয়েকটি চেকের পাতা লুট করে অপহরণকারীরা।সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর শাহজালাল মাজারের মিনারের পাশ থেকে একদল অপহরণকারী সিএনজি অটোরিকশা যোগে অপহরণ করে জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল রোডের একটি অজ্ঞাত বাসায় মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা ঘটে।

 

এ ঘটনায় এসএমপির জালালাবাদ থানায় মো. আজিজুর রহমান বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০/৩০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন ।

 

মো. আজিজুর রহমান সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার মায়েরকূল গ্রামের নুরুল হকের পুত্র। বর্তমানে আখালিয়া নয়াবাজারের বাসিন্দা।

 

এজাহার সূত্রে জানা যায়, মো. আজিজুর রহমান একজন ব্যবসায়ী ও তার নিজ গ্রামের একটি মসজিদের মোতাওয়াল্লী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। উল্লেখিত অভিযুক্ত আসামীর ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য তারই বাড়িতে থাকা একজন লজিং মাস্টারের সাথে ২৩ লক্ষ টাকার চুক্তি হয়। লজিং মাস্টারের সাথে আজিজুর রহমানের পরিচয় থাকায় অভিযুক্ত আসামী চুক্তিপত্রে আজিজুর রহমানকে সাক্ষী হিসেবে রাখার কথা বলায় তিনি তাদের অনুরোধে সরল বিশ্বাসে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। একপর্যায়ে লজিং মাস্টার অভিযুক্ত আসামীর ছেলেকে বিদেশে পাঠাতে ব্যর্থ হলে পাওনা টাকা নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে আসামীরা লজিং মাস্টারকে খুজে না পেলে বিভিন্ন সময় আজিজুর রহমানকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে দেখা করতে বলে।

 

গত সোমবার (২১ অক্টোবর) অভিযুক্ত আসামী মো. আজিজুর রহমানকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে শাজালাল মাজারের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করতে বলায় তিনি সেখানে গেলে অভিযুক্ত আসামী তার সাথে থাকা অজ্ঞাতনামা বেশ কিছু লোকদের নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাকে সিএনজি অটোরিকশা যোগে অপহরণ করে জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল রোডস্থ একটি অজ্ঞাত বাসায় নিয়ে আটকে রাখে।আসামীরা তার স্বজনদের ফোন দিয়ে আজিজুর রহমানকে ছাড়াতে নগত ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ ও সাথে চেকবই নিয়ে আসতে বলে। স্বজনরা আসলে জোরপূর্বক আসামীরা আজিজুর রহমান ও তার স্বজনের কাছ থেকে এনআইডি কার্ড,পাসপোর্ট,নগদ ৫ লক্ষ টাকাসহ চেক বইয়ের বেশ কিছু স্বাক্ষরযুক্ত ব্ল্যাংক পাতা নিয়ে স্টাম্প ও সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলে,শেষে ভয় দেখিয়ে আজিজুর রহমান কে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং শাসিয়ে বলা হয় যে, এই বিষয়ে কারো কাছে যেনো বিচারপ্রার্থী না হওয়ার জন্য! বর্তমানে আসামীদের হুমকিতে আতংকিত রয়েছেন আজিজুর রহমান।পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ করে পরামর্শ করে প্রতিকার চেয়ে ভিকটিম ২২ অক্টোবর সকালে জালালাবাদ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

 

অভিযোগটি অফিসার ইনচার্জ আমলে নিয়ে এসআই মিলটন কে তদন্ত পূর্বক যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেন।মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে এমতাবস্থায় আসামিদের ভয়ভীতি ও হুমকির কারণে আজিজুর রহমান নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।তাছাড়া আইনগত ন্যায় বিচার পাওয়ার নিমিত্তে তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর),সহকারী পুলিশ কমিশনার (জালালাবাদ থানা) সহ উর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের প্রতি সদয় সহযোগিতা কামনা করেন ভূক্তভোগী।

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন