সিসিক নির্বাচন শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

প্রকাশিত: ১:৪৪ অপরাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২৩

সিসিক নির্বাচন শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

মো: আবু বক্কর : সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। সোমবার (১৯ জুন) মধ্যরাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে এসে দিনরাত এক করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।

 

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র এক দিন বাকি। ভোট নিয়ে চলছে শেষ মুহূর্তের নানা সমীকরণ। জয়ের জন্য আলাদা আলাদা কৌশল নিয়ে এগোচ্ছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল।

 

এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় প্রধান দুই মেয়র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শেষ নির্বাচনী জনসভা করছেন। আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী জনসভা করবেন নগরের রেজিস্টারি মাঠে। আর জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল করবেন নগরের কোর্ট পয়েন্টে।

 

আজ সোমবার (১৯ জুন) মধ্যরাতে থামবে ১৮ দিনের এই নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। শেষ সময়ে তাই উত্তাল হয়ে উঠেছে সিলেট। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নির্বাচনী পোস্টারে ছেয়ে গেছে সিলেট মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার অলিগলি।

 

মেয়র প্রার্থী নিয়ে তেমন উত্তাপ না থাকলেও কাউন্সিলরদের প্রচার প্রচারণায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

 

সোমবার সকাল থেকেই তাই সরগরম হয়ে উঠেছে সিলেট। পাড়া-মহল্লায় বইছে প্রচার প্রচারণার উত্তাল ঢেউ।

 

সিলেটে সোমবার সকাল থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সোমবার সকাল থেকে চলছে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলদের গণসংযোগ৷ দুপুর থেকে শুরু হয়েছে শেষ দিনের মাইকিং ও প্রচার মিছিল। এরপর রাত পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারপত্র বিলির কাজ চলবে জোরেশোরে।

 

সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুত্রে জানা যায়, আজ মধ্য রাত থেকেই প্রচার প্রচারণা শেষ হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার (২০ জুন) সকাল থেকে কেন্দ্র কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সরঞ্জাম পৌঁছানোর কাজ শুরু হবে।

 

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙ্গল) সহ মোট আটজন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা) নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ায় মাঠে রয়েছেন সাতজন মেয়র প্রার্থী।

 

এছাড়াও ৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭২জন ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৮৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

 

আগামী বুধবার (২১ জুন) ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সকল ভোটকেন্দ্রে বসানো হবে সিসি ক্যামেরা। যা দিয়ে কমিশন ভোট পর্যক্ষেণ করবে।

 

সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ২৭টিসহ বর্তমান ওয়ার্ড সংখ্যা ৪২টি। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই মহানগরীতে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩, নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৬ জন। সিসিক নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ১৯০ টি যেখানে স্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে ১ হাজার ৩৬৭ টি এবং অস্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে ৯৫ টি।

 

এরইমধ্যে জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নির্বাচন উপলক্ষে সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবেন ৫২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। মাঠে থাকবে ১০ প্লাটুন বিজিবি। ২ হাজার ৬ শতাধিক পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি র্যাবের একাধিক স্ট্রাইকিং ফোর্স ও সাদা পোশাকে র্যাব-পুলিশের গোয়েন্দা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

 

সিসিকের ৪২টি ওয়ার্ডে ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের সহযোগিতা করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত দায়িত্ব পালন করবেন।

 

এরইমধ্যে পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা মাঠে টহল দিচ্ছে। যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে কেন্দ্রের আশপাশে অবস্থান করবেন তারা।

 

জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ইমরুল হাসান জানান, ভোট গ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগেই বন্ধ হবে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা। ১৯ জুন মধ্যরাত ১২টার পর থেকে সিসিকের ৪২টি ওয়ার্ডে জেলা প্রশাসনের ৪২টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের টিম নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে, নির্বাচনী পরিবেশ রক্ষায় এবং বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কাজ করবে।

 

এর বাইরেও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ১০টি টিম কাজ করবে। যাদের মধ্যে ওয়ার্ড ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি দলের সঙ্গে এক প্লাটুন বিজিবি থাকবে। ১৯ তারিখের পরের তিন দিন ২০, ২১ ও ২২ জুন তারা মাঠে থাকবে।

 

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানান, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা করবে জেলা প্রশাসন। মাঠে থাকবেন ৫২ জন ম্যাজিস্ট্রেট ও তাদের সহযোগিতায় ১০ প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত থাকবে।

 

সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার মো. ইলিয়াস শরীফ বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ১৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া সিসিকের ১৮টি ওয়ার্ডের সবগুলো কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। বাকি ৫৮টি কেন্দ্র সাধারণ (ঝুঁকিমুক্ত) বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

 

নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ করতে ভোটের দিন এসএমপির পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভোটের দিন শুধু পুলিশই থাকবে ২ হাজার ৬ শতাধিক। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী পুলিশের সহায়তায় র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন থাকবে।

 

ভোটের মূল নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ থাকবে জানিয়ে এসএমপি কমিশনার বলেন, অধিক গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্রগুলোর প্রতিটিতে দুইজন কর্মকর্তা ও চারজন কনস্টেবল দায়িত্ব পালন করবেন। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে একজন কর্মকর্তা ও চারজন কনস্টেবল ও সাধারণ কেন্দ্রগুলোর প্রতিটিতে একজন কর্মকর্তা ও তিনজন কনস্টেবল দায়িত্ব পালন করবেন।

 

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, নগরে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ (বুথ) রয়েছে ১ হাজার ৩৬৪টি।

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন