সিলেটে জমে উঠেছে ঈদবাজার ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়

প্রকাশিত: ১০:০৫ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২০, ২০২৩

সিলেটে জমে উঠেছে ঈদবাজার  ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়

কামরুজ্জামান রুহিন : যানজট সারাক্ষণ, রাতে ক্রেতা বেশি, কড়া নজরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

সিলেটে লাল-নীল বাতির সাজে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। দিনের বেলা ক্রেতা কম থাকলেও সন্ধ্যার পর বিপনী বিতান আর শপিং মলগুলোতে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের উপছে পড়া ভিড়। ঈদকে ঘিরে আলোকসজ্জায় রঙিন হয়ে উঠা এই শহরে রাতের কেনাকাটাতে বেশী পছন্দ নগরবাসীর।

 


বুধবার রাত আটটার দিকে নগরীর জিন্দাবাজারের ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, আল-হামরা শপিং সেন্টার, শুকরিয়া মার্কেট, মধুবন সুপার মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি শপিং মলে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছে আর দোকানে দোকানে তুলেছে বাহারী ডিজাইনের পোশাক।

 


অপরদিকে নগরের ফ্যাশন পাড়া হিসেবে পরিচিতি কুমারপাড়া ও নয়াসড়ক এলাকা ঘুরে দেখা গেছে দিনের বেলা ক্রেতাদের সমাগম তেমন একটা নেই। এই দুই এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, তুলনামূলক দিনের থেকে রাতের বেলা ক্রেতারা বেশী আসছেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের বাকি হাতেগোনা আর তিনদিন। মুসলিম স¤প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই উৎসব ঘিরে বর্ণিল সাজে সেজেছে পুরো সিলেট। নগরীর প্রতিটি মার্কেট আর শপিং মলে লাল-নীল বাতির আলোয় উজ্জ্বল পবিত্র এই নগরী।

 


গত তিনবছর করোনার প্রকোপে বিধিনিষেধ ছিল ঈদের বাজারে। ব্যবসা হয়নি বললেই চলে। তাই এবার করোনার সংক্রমণ কমে আসায় বিধিনিষেধের বাইরে রয়েছে সবকিছু। তাই বিগত ক্ষতিগুলো পুষিয়ে উঠার স্বপ্ন দেখছেন ব্যবসায়ীরা। কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে আসায় খুশি ক্রেতা ও বিক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠে তিন বছর পর ব্যবসায় গতি ফিরে আসায় স্বস্তিতে রয়েছেন বিক্রেতারা।

 


আল হামরা শপিং সিটির ব্যবসায়ী রুহেল আহমদ বলেন, ‘পর্যাপ্ত পোশাক আছে। কেনাকাটাও শুরু হয়েছে। তবে দিনে ক্রেতারা একেবারেই কম আসছেন। আবার রাত আটটার পর থেকে পুরো মার্টেকে ক্রেতাদের ভিড় লেগে থাকে ১টা-২টা পর্যন্ত।
নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারের কাকলী শপিং সেন্টারের সভাপতি জাকারিয়া ইমরুল বলেন, এবার ঈদে বেচাকেনা ভালো আছে। তবে এখন রাতের বেলায় ক্রেতারা বেশী আসছেন।

 


তিনি জানান, যেহেতু লাল-নীল বাতির রঙে প্রতিটি মার্কেট সাজানো হয়েছে তাই অনেকে পরিবার নিয়ে এই সৌন্দর্য দেখতে রাতের বেলা ভিড় জমান।

 


ব্যস্ত দর্জিপাড়া, বন্ধ হচ্ছে অর্ডার নেয়া এদিকে সিলেটে দর্জিপাড়ায় যেন সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অর্ডার নেয়া। ফলে শেষ মুহূর্তে দর্জি দোকানে ছুটছেন ফ্যাশন প্রিয়রা। ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জির দোকানগুলোতে।

 


ফ্যাশন সচেতন তরুণীরা ছুটছেন জিন্দাবাজারের শুকরিয়া, সিটি শপিংসিটি, কাজী ম্যাশনসহ বিভিন্ন মার্কেটের গড়ে ওঠা দর্জির দোকানে। আবার ছেলেদের শার্ট-প্যান্ট তৈরির যোগান দিচ্ছে স্থানীয় নামকরা সব টেইলার্স। সাথে পাঞ্জাবি তৈরির দোকানগুলোতেও ভিড় বেড়েছে।

 


বন্দরবাজারের মধুবন মার্কেটের ন্যাশনাল টেইলার্সের মালিক ছাব্বির মিয়া জানান, শবে বরাতের পর থেকেই এই সব পোশাক তৈরির অর্ডার নেয়া শুরু হয়েছে। ২০ রমজান থেকে ২২ রমজানের মধ্যে সব ধরনের অর্ডার নেয়া বন্ধ করে রয়েছে।

 


এদিকে, ঈদ বাজারকে নির্বিঘ্ন করতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নগরীর বিভিন্ন মার্কেট আর শপিং মলে নিরাপত্তা জোড়দার করেছে সিলেট মহানগর পুলিশ।

 


মহানগর পুলিশের মিডিয়া সূত্রে জানা যায়, দশ রমজানের পর থেকে শহরের প্রতিটি মার্কেটে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারি রাখছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশি তল্লাশি অব্যাহত আছে।

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন