মা-বাবাকে হত্যার দায়ে সিলেটে ছেলের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ৮:০২ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০২৩

মা-বাবাকে হত্যার দায়ে সিলেটে ছেলের মৃত্যুদণ্ড

সিলেট টুয়েন্টিফোর এক্সপ্রেস ডেস্ক : সিলেটের বাবা-মা হত্যার দায়ে দায়ে ছে‌লে আতিকুর রহমান রাহেলের (৩৬) ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার(৩০মার্চ) সকালে সিলেটের দায়রা জজ আদালতে সিনিয়র বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় দেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

 

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আতিকুর রহমান রাহেল সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার সুনামপুর গ্রামের বাবা আবদুল করিম খান ওরফে ঠাকুর মনার ছেলে।

 

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নিজাম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, ২০২০ সালের ২৭ মার্চ সিলেটের গোলাপগঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাবা আবদুল করিম খান (৬০) ও মা মিনারা বেগম (৪৫) কে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে আতিক হোসেন খান ওরফে আতিকুর রহমান রাহেল (৩৫) নামক এক ব্যক্তি।
পরে, তার ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২৮ মার্চ গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযুক্ত আতিককে আটক করে। এরপর ধারাবাহিক বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক।

 

রাষ্ট্রপক্ষের কুশলী এডভোকেট নিজাম উদ্দিন আহমদ জানান, সকল সাক্ষ্য প্রমাণে আতিকুর রহমান দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আদালত মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।

 

তবে, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৭ মার্চ সকালে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামে আবদুল করিম খান এর ছেলে রাহেল আহমদ বাড়ির সামনের গাছ কাটতে গেলে তার বাবা করিম খান ও তার মাতা মিনারা বেগম বাধা দেন। এ সময় তাদের সাথে ছেলের বাকবিতণ্ডা হলে এক পর্যায়ে রাহেল আহমদ উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা কোদাল ও দা দিয়ে বাবা ও মাতার উপর হামলা করে।

 

স্থানীয়রা তাদের চিৎকার শোনে এগিয়ে আসলে ছেলে রাহেল আহমদ পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই করিম খান মৃত্যুবরণ করেন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা মিনারা বেগমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এরপর কিছুটা সুস্থ হলে মিনারা বেগমকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে হঠাৎ আবার শরীর খারাপ হয়ে গেলে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ছেলে রাহেল আহমদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ধারাবাহিক বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ ৩০ মার্চ রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক।