প্রকাশিত: ১:১৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২৩
বিনোদন ডেস্ক : বর্তমান সময়ের নায়িকা মাহিয়া মাহি কয়েক মাস আগে জানান দেন, তিনি মা হতে যাচ্ছে। নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এই নায়িকাকে শনিবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গাজীপুর বাসন থানায় দায়ের হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শোবিজ অঙ্গনের অনেকেই গর্ভধারিণী মায়ের এবং তার সন্তানের কোনো ক্ষতি না হওয়ার বিষয়ে নজর দিতে আর্জি জানিয়েছেন।
এই তালিকায় রয়েছেন অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন। তিনি তার ফেসবুকে লিখেন, “মাহিয়া মাহিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। আমার পরিচালিত প্রথম ছবি ‘কৃষ্ণপক্ষ’তে কাজ করার সময় প্রায় ১ মাস দিনরাত একসঙ্গে থেকেছি।শুটিং স্পটে দীর্ঘসময় একসঙ্গে থাকলে মানুষের দোষগুণ মোটামুটি ৯০ ভাগ জানা হয়ে যায়। সেই জানা থেকে বলছি- মাহি একজন লক্ষী মেয়ে, ভালো মানুষ। আমি কখনও তাকে সহকর্মীদের নিয়ে রসালো আলাপ কিংবা বদনাম করতে দেখিনি। বরং শুটিং স্পটের সবশ্রেণীর কলাকুশলীদের সঙ্গে যথাযথ সম্মান দিয়েই কথা বলতে দেখেছি। আজ শুনলাম মাহি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়েছে। এয়ারপোর্ট থেকে তার গ্রেপ্তারের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ঘোরাঘুরি করছে! আর সেই ছবির নিচে মন্তব্যকারীদের রুচির স্তর সম্বন্ধে তো বলে শেষ করা যাবে না! (যদিও সেলিব্রিটিদের ছবিতে কুৎসিত মন্তব্য, মিথ্যা অপবাদ কিংবা অসম্মানের হুমকির জন্য কোনো নিরাপত্তা আইন নেই!)
মাহিয়া মাহি যদি আইনের দৃষ্টিতে কোনো অন্যায় করে থাকেন, অবশ্যই তার তদন্ত চলুক। তবে একজন আট মাসের গর্ভবতী মা’কে কারাগারে প্রেরণ কিংবা তার জন্য রিমান্ডের আবেদন কোনোভাবেই কাম্য নয়। আইন রক্ষাকারী এবং প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কাছে অন্তঃসত্ত্বা মাহি ও তার অনাগত সন্তানের প্রতি ন্যায়সংগত ও সংবেদনশীল ব্যবহারের অনুরোধ জানাচ্ছি।”
এদিকে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান তার ফেসবুকে লিখেন, ‘অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাত্রই খবরে পড়লাম, পুলিশ তাকে রিমান্ডে আনার আবেদন করলেও আদালত তা মঞ্জুর করেননি। মাহি জনপ্রিয় অভিনেত্রী, কিন্তু দেশের সব নাগরিকের মতো তিনিও আইনের অধীন। তবে এই কথাটা বিশেষভাবে মনে রাখা দরকার, তিনি এখন মাসের নয় মাসের অন্তঃসত্তা। তাঁর অভিযোগের তদন্ত চলুক, কিন্তু একজন গর্ভধারিণী মায়ের এবং তার সন্তানের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। রিমান্ড মঞ্জুর না করার জন্য বিজ্ঞ আদালতকে ধন্যবাদ জানাই। পুলিশের কর্মকর্তাদেরও অনুরোধ করব, মা আর অনাগত শিশুর যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সে ব্যাপারে যেন সংবেদনশীল থাকবেন।’
অন্যদিকে নায়িকা তমা মির্জা লিখেন, ‘মাহিয়া মাহি এতো বড় অপরাধ করে ফেলেছে যে নয় মাসের গর্ভবতী এক নারীকে এতো আয়োজন করে এয়ারপোর্ট থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হলো? আসলে অনেক বড় আসামি ধরে ফেলেছে …ও আমি আবার এগুলো নিয়ে কেন কথা বলছি, দেখা যাবে কথা বলার অপরাধে আমিও…।’
চলচ্চিত্র নির্মাতা মারিয়া তুষার ফেসবুকে লিখেন, ‘অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ তাকে রিমান্ডে আনার আবেদন করলেও আদালত তা মঞ্জুর করেনি। মাহি জনপ্রিয় অভিনেত্রী বটে কিন্তু দেশের সব নাগরিকের মতো তিনিও আইনের অধীন। তবে এই কথাটা বিশেষভাবে মনে রাখা দরকার, তিনি এখন নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাঁর অভিযোগের তদন্ত চলুক, কিন্তু একজন গর্ভধারিণী মায়ের এবং তার সন্তানের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। রিমান্ড মঞ্জুর না করার জন্য বিজ্ঞ আদালতকে ধন্যবাদ জানাই। পুলিশের কর্মকর্তাদেরও অনুরোধ করব, মা এবং তার অনাগত সন্তানের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সে ব্যাপারে দয়া করে সংবেদনশীল থাকবেন।’
নবাগত অভিনেত্রী রাজ রিপা লিখেন, ‘তার গর্ভের বাচ্চাটা যেন এই সুন্দর দুনিয়া দেখে। দেশের সরকার ‘বাংলার মা’র কাছে চাওয়া মাহিয়া মাহি একজন ৯ মাসের গর্ভবতী মহিলা, দয়া করে তাকে মুক্ত করে দিন।’
মাহির গর্ভধারণের বিষয়টি উল্লেখ্য করে নায়ক রিয়াজ বলেন, ‘নায়িকা মাহি বর্তমানে গর্ভবতী। তার শারীরিক জটিলতার বিষয়টি যেন মাথায় রাখে পুলিশ।’ একই সুর মেলালেন নায়িকা নিপূণ। তিনি বলেন, ‘একজন শিল্পী হিসেবে, দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি চাই, মাহি যেন সুবিচার পান। তিনি গর্ভবতী, তার প্রতি যেন সেই বিবেচনা করেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গাজীপুরের ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক রকিব সরকারকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি। এরপর ক্রমশ সিনেমা থেকে দূরে সরে গেছেন তিনি। কিছুদিন আগে সক্রিয়ভাবে নেমেছেন রাজনীতির মাঠে। এমনকি এমপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পাননি।
সম্প্রতি তিনি ওমরা করতে স্বামীর সঙ্গে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই শুক্রবার (১৭ মার্চ) ভোরে ফেসবুক লাইভে এসে অভিযোগ তোলেন, গাজীপুরে অবস্থিত তাদের গাড়ির শো-রুমে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ওই ঘটনায় স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগও তোলেন তারা। এদিন রাতেই মাহি-রকিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। সেই সূত্রে দেশে ফেরা মাত্রই মাহিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest