প্রকাশিত: ৩:০৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের কর্নাটকের হাসান জেলার আরাসিকিরে অঞ্চলে এক ই-কমার্স সাইটে একটি আইফোন অর্ডার করেন এক যুবক। কিন্তু মোবাইল কেনার মতো টাকা তার কাছে ছিল না।
তাই ডেলিভারি বয় পৌঁছাতেই আইফোনটি নিয়ে তাকে হত্যা করেন তিনি।
তারপর চারদিন মরদেহ লুকিয়ে রেখে শেষমেশ পুড়িয়েও দেন। খবর: ওয়ান ইন্ডিয়া
জানা যায়, অভিযুক্তের নাম হেমন্ত দত্ত এবং নিহত ডেলিভারি বয়ের নাম হেমন্ত নায়েক। ২৩ বছরের ওই যুবককে হত্যার পর বাড়িতেই দেহ লুকিয়ে রেখেছিলেন হেমন্ত দত্ত। শনিবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, দিন কয়েক আগে একটি ই-কমার্স সাইটে ৪৬ হাজার রুপির আইফোন অর্ডার করেন হেমন্ত দত্ত। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ডেলিভারি বয় হেমন্ত নায়েক ওই ফোনটি নিয়ে দত্তের বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছান। কিন্তু ফোন নিয়ে পৌঁছনোর পর ডেলিভারি বয়কেই মোড়ক খুলতে বলেন দত্ত। কিন্তু ডেলিভারি বয় অস্বীকৃতি জানান এবং আইফোনের দাম চান। এরপর কথা কাটাকাটি হতেই ডেলিভারি বয়কে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন দত্ত। দিন চারেক নিজের বাড়িতে মরদেহ লুকিয়েও রেখেছিলেন। পরে গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি রেলসেতুর কাছে কেরোসিন ঢেলে মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেন অভিযুক্ত।
অন্যদিকে, ভাইকে খুঁজে না পেয়ে ডেলিভারি বয়ের ভাই মঞ্জুনাথ নায়েক পুলিশের দ্বারস্থ হন। নিখোঁজ ডায়েরি করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তার পরই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
পুলিশ ওই ডেলিভারি বয়ের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে অভিযুক্তের কাছে পৌঁছায়। সেখানেই মৃতের মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এছাড়া, সংশ্লিষ্ট ই-কমার্স সংস্থার ব্যাগও মেলে অভিযুক্তের বাড়িতে।
অভিযুক্ত নিজেও আগে ই-কমার্স কোম্পানিতে ডেলিভারি বয়ের কাজ করতেন। পরে তিনি কাজ ছেড়ে দেন। শখের ফোন অর্ডার করে টাকা জোগাড় করতে পারেননি। কীভাবে টাকা দেবেন, এ সব ভাবতে ভাবতে ডেলিভারি বয়কে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest