হিসাববিজ্ঞান ও ফিন্যান্স প্র‍্যোক্টিস সেন্টারের পিঠা উৎসব

প্রকাশিত: ৬:০০ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩

হিসাববিজ্ঞান ও ফিন্যান্স প্র‍্যোক্টিস সেন্টারের পিঠা উৎসব

জনি শর্মা :: হাজার বছরের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী আমরা। খাদ্যরসিক বাঙালি প্রাচীনকাল থেকে প্রধান খাদ্যের পরিপূরক মুখরোচক অনেক খাবার তৈরি করে আসছে। তবে পিঠা সর্বাধিক গুরুত্বের দাবিদার। শুধু খাবার হিসেবেই নয় বরং লোকজ ঐতিহ্য এবং নারীসমাজের শিল্প নৈপুণ্যের স্মারক রূপেও পিঠা বিবেচিত হয়। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। যখনই পিঠা-পায়েস, পুলি কিংবা নাড়ুর কথা উঠে তখনি যেন শীত ঋতুটি আমাদের চোখে ও মনে ভেসে ওঠে। প্রতি শীতেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা পুলির উৎসব।

শীতের সময় বাহারি পিঠার উপস্থাপন ও আধিক্য দেখা যায়। বাঙালির লোক ইতিহাস ও ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বহুকাল ধরে। এটি লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতিরই বহি:প্রকাশ। যান্ত্রিক সভ্যতার এই ইট-কাঠের নগরীতে হারিয়ে যেতে বসেছে পিঠার ঐতিহ্য। সময়ের স্রোত গড়িয়ে লোকজ এই শিল্প আবহমান বাংলার অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠলেও এ যুগে সামাজিকতার ক্ষেত্রে পিঠার প্রচলন অনেকটাই কমে এসেছে।

তাই মুখরোচক খাবার হিসেবে পিঠার স্বাদ গ্রহণ ও জনসমক্ষে একে আরো পরিচিত করে তুলতে হিসাববিজ্ঞান ও ফিন্যান্স প্র‍্যোক্টিস সেন্টার আয়োজন করা হয় পিঠা উৎসব। লোকজ এই ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার প্রয়াসে বাঙালির পিঠা পার্বণের আনন্দধারায়।আজ (৪ ফেব্রুয়ারী) শনিবার সিলেট নগরীর শিবগঞ্জ এর হোয়াইট হাউজ রিসোর্ট এ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন এডভোকেট মো নিজাম উদ্দিন।অন্যান্য অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রশান্ত কুমার সাহা সাবেক শিক্ষক এমসি কলেজ,পলাশ পাল,ফয়জুর রহমান মামুন, আহমেদ জিয়া শামস,কামাল আহমেদ।

উৎসবের নিয়মিত আয়োজনের অংশ হিসেবে উৎসবস্থলের উন্মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নাচ, গান, আবৃত্তি ও নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। এতে হিসাববিজ্ঞান ও ফিন্যান্স প্র‍্যোক্টিস সেন্টার শিক্ষকক,ছাত্র-ছাত্রী’রা অংশগ্রহণ করেন।

বিপুল লোক সমাগম ঘটে পিঠা উৎসবে। প্রাণের টানে ছুটে আসা সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মুখরিত হয়ে ওঠেছে উৎসবস্থল। শীতের পিঠা-পুলিসহ নানা অঞ্চলের বৈচিত্র্যময় পিঠার পসরা সাজিয়ে উৎসবে আগত দর্শনার্থীদের মনোযোগ কেড়েছে পিঠা উৎসবে অংশ নেয় স্টলগুলো। হিসাববিজ্ঞান ও ফিন্যান্স প্র‍্যোক্টিস সেন্টার এর চেয়ারম্যান আনসার আহমেদ চৌধুরী বলেন ইট-পাথরের রাজ্যে এখন আমাদের সংস্কৃতি দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে আমি ধন্যবাদ জানাই আমার শিক্ষার্থীদের এমন সুন্দর আয়োজন করার জন্য।এই উৎসব আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রথম ও এই আয়োজন সম্পূর্ণ আমার শিক্ষার্থীরা করেছে,আমি এই পিঠা উৎসব প্রতি বছর করবো।এমন আয়োজন প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করা উচিৎ বলে আমি মনে করি এতে করে আমাদের বাঙ্গালী সংস্কৃতি ও পিঠা সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবে শহরের শিশুরা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

সিলেট সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪

সিলেট সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪