প্রকাশিত: ৬:১০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০১৮
তাহমিনা আক্তার : ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসে, ততই বিএনপি-জামায়াত জোটের মধ্যে বেপরোয়া ও সহিংস আচরণের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণের পরিবর্তে সহিংসতা, ষড়যন্ত্র, এবং নৈরাজ্যের দিকে মোড় নেয়। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বিএনপি-জামায়াত অতীতেও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার কুখ্যাত নজির স্থাপন করেছে, আর ২০১৮ সালেও তার ব্যতিক্রম হয়নি
নির্বাচনের আগমুহূর্তে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের উপর হামলা, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি, আগুন সন্ত্রাস, এবং বোমা হামলার মাধ্যমে বিএনপি- জামায়াত তাদের পুরোনো সহিংস রাজনীতির পুনরাবৃত্তি ঘটায়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর পরিকল্পিত হামলার পেছনে ছিল নির্বাচনের পরিবেশকে অস্থির করা ও ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য। বিভিন্ন জেলায় দেখা গেছে, তারা রাতের অন্ধকারে নির্বাচনী অফিসে আগুন দেয়, নির্বাচনী পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে, এমনকি আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের উপরও হামলা চালায়।
এমন একটি উদাহরণ হলো রাজধানী ঢাকায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে সংঘটিত সহিংস মিছিল, যেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোড়া হয় এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়। অপরদিকে, জামায়াত-শিবিরের সদস্যরা তাদের পরিচিত কৌশল অনুযায়ী গোপনে নাশকতার পরিকল্পনা করতে থাকে। তারা মসজিদ, মাদ্রাসা, এবং ধর্মীয় স্থাপনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে চায়। জামায়াতের এই সাম্প্রদায়িক অপচেষ্টা ছিল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার একটি গভীর ষড়যন্ত্র ।
বিএনপি-জামায়াত জোটের এসব কর্মকান্ড শুধু নির্বাচনী পরিবেশকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেনি, বরং দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। জনমনে উদ্বেগ ও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, তারা যদি নির্বাচনে পরাজিত হয়, তবে পুনরায় ২০১৪ সালের মতো আগুন-সন্ত্রাস শুরু করতে পারে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের পর তারা দেশব্যাপী ট্রেন, বাস,
লঞ্চে আগুন দিয়ে শতাধিক নিরীহ মানুষ হত্যা করেছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির শঙ্কা থেকেই জনগণ ও প্রশাসন ছিল সর্বোচ্চ সতর্কতায়।
এছাড়া, বিএনপি-জামায়াত জোট আন্তর্জাতিক পর্যায়েও নির্বাচনকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালায়। তারা বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার কাছে ভুল তথ্য প্রদান করে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করানোর চেষ্টা করে। এইভাবে তারা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে উদ্যত হয়, যা ছিল একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ এবং সরকার দলীয় প্রার্থীরা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে সচেষ্ট ছিল। তারা জনগণের দোরগোড়ায় গিয়ে উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে ভোট প্রার্থনা করে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও নিরপেক্ষভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে, যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে।
সার্বিকভাবে বলা যায়, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি- জামায়াত জোট যে সহিংস ও বেপরোয়া রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাচ্ছে, তা গণতন্ত্র ও দেশের স্থিতিশীলতার প্রতি সরাসরি হুমকি স্বরূপ। তবে জনগণ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সচেতনতাই তাদের উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ করা সম্ভব। এর ফলে নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে এবং দেশ একটি সফল জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে।
লেখিকা: তাহমিনা আক্তার




অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
প্রধান উপদেষ্টা : আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন
পরিচালক, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠাতা, আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন সমাজ কল্যাণ ট্রাস্ট।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
Design and developed by Web Nest