সিলেটের মাটির নিচে তৈলের খনি কূপ খননের উদ্যোগ গ্রহণ

প্রকাশিত: ১০:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪

সিলেটের মাটির নিচে তৈলের খনি কূপ খননের উদ্যোগ গ্রহণ

2

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে ও আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যে সরকার নতুন করে তৈল কূপ খননের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যেই সিলেট তৈলের খনিতে উত্তোলনযোগ্য মজুদ প্রায় দেড় কোটি ব্যারেল বলে ধারণা করা হয়েছে। যা দৈনিক ৬০০ ব্যারেল হারে উত্তোলন করলে ১০ বছর পর্যন্ত উত্তোলন করা সম্ভব বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠান স্লামবার্জার।

 

আর সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. রেজাউল ইসলাম সাংবাদিকদের’কে বলেন, মজুদ আরও বেশি ধারণা করা হচ্ছে, দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যারেল তৈল উত্তোলন করা সম্ভব বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

3

স্লামবার্জারের রিপোর্টে ১৪.৮ মিলিয়ন ব্যারেল (প্রায় দেড় কোটি) তৈল উত্তোলনযোগ্য বলা হয়েছে। দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যারেল (১ ব্যারেল সমান ১৬৯ লিটার) তৈল উত্তোলন করা সম্ভব। ফিল্ডটিতে আরেকটি কূপ খননের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

 

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার সাংবাদিকদের জানান, স্লামবার্জার রিপোর্ট জমা দিয়েছে, আমাদের টিম এটি মূল্যায়ন করছে। তবে যতক্ষণ না আমাদের টিম একমত হচ্ছে ততক্ষণ মজুদ ঘোষণা করতে চাই না। তবে ভালো পরিমাণে মজুদ আশা করা হচ্ছে।

7

 

জৈয়িন্তাপুর এলাকায় অবস্থিত সিলেট-১০ কূপের ১৩৯৭-১৪৪৫ মিটার গভীরতায় তৈলের অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক উৎপাদনের সময় প্রথম দিন ২ ঘণ্টায় ৭০ ব্যারেল তেল উঠেছে। আপাতত কূপটি বন্ধ রাখা হয়েছে। মজুদের এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে কনসালটেন্সি ফার্ম স্লামবার্জারকে নিযুক্ত করা হয়। সেই প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে।

 

পেট্রোবাংলার সূত্রে জানা গেছে, তৈলের কোয়ালিটি উন্নতমানের। সিলেট-১০ থেকে পাওয়া তেল বুয়েট এবং ইস্টার্ন রিফাইনারীতে প্রেরণ করেছিলাম, তারা উৎকৃষ্টমানের বলে রিপোর্ট দিয়েছে।

 

1

২০২৩ সালের নভেম্বরে সিলেট-১০ কূপের খনন শেষ হয়। কূপটিতে তৈলের পাশাপাশি গ্যাসের ৩টি স্তর পাওয়া গেছে। স্তরগুলোর অবস্থান হচ্ছে ২৪৬০ থেকে ২৪৭৫ মিটার, ২৫৪০ থেকে ২৫৭৬ মিটার ও ৩৩০০ মিটার গভীরতায়। গ্যাসের সম্ভাব্য মজুদ ৪৩.৬ থেকে ১০৬ বিলিয়ন ঘনফুট হতে পারে বলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ আশা করছে।

 

সিলেট-১০ কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলনের জোর প্রস্তুতি চলছে। কূপটি গ্যাস উত্তোলনের জন্য প্রস্তুত থাকলেও পাইপলাইন না থাকায় উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে না। কূপটি থেকে হরিপুর পর্যন্ত ৬ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন বসানোর কাজ চলমান রয়েছে।

 

3

১৯৮৬ সালে দেশে প্রথম তেলের সন্ধান পাওয়া যায় হরিপুরে। এটি পাঁচ বছর স্থায়ী হয়েছিল, তারপর বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬৭ লাখ ৬১ হাজার ৩২০ টন জ্বালানি তৈল ব্যবহৃত হয়েছে। মাত্র ৮ শতাংশ এসেছে দেশীয় উৎস (গ্যাস ফিল্ডগুলো থেকে উপজাত- কনডেনসেট) থেকে, আর ৯২ শতাংশ জ্বালানি যোগান এসেছে আমদানি থেকে। ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের মধ্যে ৬৩ শতাংশ হচ্ছে ডিজেল আর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েল রয়েছে ১৪ শতাংশ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার বাংলা ইংরেজি আরবি

২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার বাংলা ইংরেজি আরবি

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

sylhet24

Follow for More!

1
5