প্রকাশিত: ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক : মোবাইলে চার্জ দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংর্ঘষ চলে শনিবার বিকাল থেকে রাত অবধি। রাত পৌণে ১০টার দিকে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। রাতে পরিস্থিতি শান্ত হলেও রোববার সকাল থেকে আবার ওই ঘটনাকে কেন্দ্র প্রস্তুতি নেয় বর্ণি ও কোম্পানীগঞ্জ এলাকাবাসী। প্রায় ১০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ও পিকআপে করে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে যায় তারা। প্রতিপক্ষ আসছে শুনে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেন কাঁঠালবাড়ি এলাকাবাসী। দুপুর ১২টার দিকে মাইকিং করে থানা বাজার পয়েন্টে সংঘর্ষে জড়ান তিন গ্রামের লোকজন। পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যবহার করা হয় টিয়ারশেল। আহত হয়েছেন ৫ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০জন।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে। দুপুর সোয়া ২টার দিকে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৫ডিসেম্বর) বিকেলে বর্ণি গ্রামের এক ব্যক্তি মোবাইলে চার্জ দেয়া নিয়ে কাঠাঁলবাড়ী গ্রামের এক ব্যক্তির মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় একটি পক্ষ বর্ণি সড়কে গাড়ি আটকে রাখে। পরে থানা সদরে কোম্পানীগঞ্জ, বর্ণি ও কাঁঠালবাড়ী ৩ গ্রামের লোকজনের মধ্যে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক। এসময় বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, যানবাহন ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাতে পরিস্থিতি শান্ত হলেও রোববার সকালে বর্ণি ও কোম্পানীগঞ্জ গ্রামের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কাঁঠালবাড়ি গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। সকাল ১১টার দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে দুটি পক্ষ। দুপুর ১২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের ব্রিজের এক পাশে কাঁঠালবাড়ি ও অন্যপাশে অবস্থান নেয় বর্ণি-কোম্পানীগঞ্জ গ্রামবাসী। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালায় পুলিশ। কিন্তু ব্যর্থ হয় তারা। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তিনটি গ্রামের লোকজন। থানা বাজার পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। উভয় পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ৫-৬ পুলিশ সদস্যসহ আহত হন আরও অন্তত ২০ জন। দুপুর সোয়া দুইটার দিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
সংঘর্ষে দু’দিনে আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা.কামরুজ্জামান রাসেল।
এব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, শনিবার বিকেলে মোবাইল চার্জ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুজনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। রোববার দুপুরে পুনরায় দুটি পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। ইটপাটকেলের আঘাতে ৫-৬জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষ ঠেকাতে সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অবস্) রফিকুল ইসলাম ও গোয়াইনঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সহিদুর রহমানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest