দেশের যে গ্রামে ভাড়ায় পাওয়া যায় বউ, টাকায় মিলবে সুন্দরী স্ত্রী!

প্রকাশিত: ৭:৫৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪

দেশের যে গ্রামে ভাড়ায় পাওয়া যায় বউ, টাকায় মিলবে সুন্দরী স্ত্রী!

বিনোদন ডেস্ক : বিয়ে করতে চাইলে তো আর বউ পাওয়া যায়না। কারণ বর্তমান যুগে বিয়ের জন্য বউ খুঁজে পাওয়া বিশাল ঝাক্কি-ঝামেলার ব্যাপার। বিয়ের বসয় চলে গেলে পাত্রদের আর ভালো বউ পাওয়া হয়ে ওঠে না। আবার বিয়ে করতে লাগবে ভালো চাকরি বা টাকা-পয়সা, বিয়ের খরচ, প্রি ওয়েডিং শ্যুট, বন্ধু-বান্ধব বা আত্নীয়-স্বজনদের দাওয়াত, ঘর সাজানোর মতো নানা ঝামেলা।

 

কিন্তু যদি বলি কোন ঝুট-ঝামেলা ছাড়াই ভাড়ায় বউ পাওয়া যায়। খরচ করতে হয় না লাখ লাখ টাকা, লাগে না কাজি। শুধু কয়েক হাজার টাকা হলেও খেল খতম! তারপর বউ নিয়ে চলে আসুন ঘরে। বিষয়টি শুনে বিশ্বাস হচ্ছে না তাই না! তবে এটা সত্যি যে ভাড়ায় বউ মিলছে দেশেই।

 

গাজীপুর জেলা থেকে সাত কিলোমিটার দূরে রয়েছে ভাদুন গ্রাম। এই গ্রামেই বউ ভাড়ায় পাওয়া যায়। বলা হচ্ছে, ভাদুন গ্রাম নাকি বিখ্যাত এই কারবারের জন্য। এখানে ফর্সা, কালো, রোগা, পাতলা, লম্বা, বেটে যেমন বউ চাইবেন তেমনি বউ পাবেন। ভাদুন গ্রামে সব রকমের বউ রয়েছে ভাড়া দেওয়ার জন্য।

 

শুধু বউ নয় একই সাথে বর ভাড়াও দেওয়া হয়। আবার ছোট শিশু চান? হাঁস-মুরগী কিংবা গরু-ছাগল? তা-ও মিলবে এ গ্রামে। তবে যে-ই ভাড়া নেন না কেন তার জন্য দিতে হবে কড়কড়ে নোট। যদিও আজকে থেকে নয়…..বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই ওই গ্রামে চলছে এই ব্যবসা।

 

তবে সত্যি কি ভাড়ায় বর, বউ পাওয়া যায়, এর আসল রহস্য কি? খোজ নিয়ে জানা যায়, সময় অনুসারে ভাড়ার টাকার পরিমাণ বাড়ে। অর্থাৎ যে যত বেশি টাকা দেবে সে ততক্ষণ নিজের কাছে ভাড়া করে বর, বউ রাখতে পারবেন। তবে মজার বিষয় কি জানেন, এই বর, বউ শুধুমাত্র শুটিংয়ের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়। যারা ভাবছেন ভাড়া করে নিয়ে গিয়ে বউকে যেমন ইচ্ছা কাজ করাবেন তেমনটা কিন্তু নয়!

 

আসলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত ভাদুন গ্রাম হচ্ছে শুটিংয়ের স্পট। জেলা শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভাদুন গ্রাম। এই গ্রামে ৯০-এর দশক থেকে শুরু হয়েছে নাটক-সিনেমার শুটিং কার্যক্রম। এ কারণে গ্রামটিকে বলা হয়ে থাকে চলচ্চিত্র শিল্পীদের আবাসভূমি। ভাদুন গ্রামের পাশাপাশি আরো কয়েকটি গ্রামেও এমনভাবেই বর, বউ, বাচ্চা, হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল, ঘর-গৃহস্থালিসহ সমস্ত কিছুই ভাড়াতে পাওয়া যায়। এই গ্রামটি মূলত তৈরি হয়েছে, নাটক-সিনেমা, টেলিফ্লিমের জন্য। ফলে ভাদুন গ্রামে চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে শিল্পীরা। পরিচালকদের অত্যন্ত ভরসার জায়গা এটি। পরিচালকরা নিজেদের পছন্দমত পার্শ্ব অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ভাড়া করে নিয়ে যান।

 

জানা যায়, এই এলাকায় ৯০ দশক থেকে শুরু হয়েছে নাটক-সিনেমার শুটিং কার্যক্রম। গ্রামটিকে অনেকেই চলচ্চিত্র শিল্পীদের আবাসভূমি বলে থাকেন। এই গ্রামে আসলে হাঁটতে হাঁটতে চেনা পরিচিত অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সাথেও দেখা হয়ে যেতে পারে।

 

শুটিংয়ের জন্য ভাদুন গ্রামে জায়গার অভাব নেই। রয়েছে মেঘলা, আকাশ ভিলা, ঐশী সুটিং, বিলভিলা, হাসনাহেনা, শাহিনের বাড়ি, আপন ভূবন, কৃষ্ণচূড়াসহ অজস্র শুটিং স্পট। তবে সবকিছুর জন্যই ভাড়া দিতে হয়, তাও আবার ঘন্টা চুক্তিতে। শুধু ঘরবাড়ি নয় একই সাথে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে সময়ের নির্ভরতা রয়েছে।

 

শুটিং স্পটের মালিক ও পরিচালকরা জানান, শুটিংয়ের প্রয়োজনে ঘণ্টাভিত্তিক কিংবা সারাদিনের জন্য বউ, বর, শিশু, বাচ্চা, নাপিত, কামার, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী, ঝাড়ুদার সবকিছুই ভাড়ায় পাওয়া যায় এখানে।

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন