প্রকাশিত: ৮:৩৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২০, ২০২৪
বিনোদন ডেস্ক : বেশিরভাগ নারীই চান মা হতে। তাঁদের মতে, মা হওয়ার চেয়ে বেশি আনন্দ আর কিছুতে নেই। কিছু দম্পতির স্বাভাবিক সময়ে সন্তান হয় আবার কিছু দম্পতিকে সন্তানের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ৪৪ বছর বয়সী ভারতীয় এক অভিনেত্রীর সঙ্গেও এমনই কিছু ঘটল।
২০২৪ সালে এই দম্পতি সুখবর পেয়েছিলেন। কিন্তু বছর শেষ হওয়ার আগে এলো চরম দুঃসংবাদ৷ তিনি জানান, ‘আমি এমন একটি দুঃখ অনুভব করেছি যা আমি কখনও ভুলতে পারব না।’

সন্তানসম্ভবা অভিনেত্রী সন্তান জন্ম দানের আগেই মিসক্যারেজের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন৷ এই চরম খারাপ খবর পেয়েছেন ভোজপুরি অভিনেত্রী সম্ভাবনা শেঠ এবং তার স্বামী অবিনাশ দ্বিবেদী। সম্প্রতি তিনি তাঁর ফ্যানদের সঙ্গে দুঃখজনক খবরটি শেয়ার করেছেন, যা শুনে সকলেই শোকস্তব্ধ৷
অভিনেত্রী সম্ভাবনা শেঠ এবং তাঁর স্বামী অবিনাশ তাঁদের ফ্যানদের আগেই সুখবর দিয়েছিলেন। ৪৪ বছর বয়সী সম্ভাবনা শেঠ তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন। কিন্তু ঘরে সুখ আসার আগেই বাড়িতে শোকের মাতম। তিন মাসের গর্ভবতী সম্ভাবনা গর্ভপাতের শিকার হন। তিনি ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের (IVF) মাধ্যমে তাঁর প্রথম সন্তান ধারণ করেন।
গর্ভাবস্থার তৃতীয় মাসে সন্তান হারিয়ে সম্ভাবনা এবং তাঁর স্বামী ব্লগে তাঁদের ভক্তদের এই তথ্য দিয়েছেন। গর্ভপাতের পর সম্ভাবনা খুব কাঁদছে। অবিনাশ তাঁর ব্লগে বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা আইভিএফের মাধ্যমে সন্তানের জন্য চেষ্টা করছিলাম। এবার সম্ভব হল এবং সম্ভাবনা গর্ভবতী হল। এটি ছিল তার তৃতীয় মাস। আজ একটি স্ক্যান ছিল এবং প্রত্যেকের কাছে এটি ঘোষণা করার আশা করছিলাম। সবকিছু ঠিকঠাক ছিল এবং আমরা খুব খুশি যে এই ট্রিপ সফল হবে। শিশুটির হার্টবিট ছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক স্ক্যানে হৃদস্পন্দন শনাক্ত করতে পারেননি চিকিৎসকরা। কেন এমন হল কেউ বুঝতে পারল না।’
শিশুকে গর্ভে আনার জন্য ৬৫ ইনজেকশনের যন্ত্রণা সহ্য করেছেন সম্ভাবনা। কাঁদতে কাঁদতে সম্ভাবনা গর্ভাবস্থার পুরো প্রক্রিয়া বর্ণনা করেন। আইফিএফ’র পুরো প্রক্রিয়া চলাকালে তিনি ৬৫টি ইনজেকশন নিয়েছিলেন, যা খুব বেদনাদায়ক ছিল। কিন্তু তিনি তাঁর সন্তান জন্ম দেওয়ার খুশির জন্য সব কষ্ট করেছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সবকিছু করেছি এবং এই সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সতর্কতা নিয়েছি। যখন ভাবলাম ইনজেকশনটা এখন বন্ধ হয়ে যাবে তখন তার সন্তানের হার্টবিটও বন্ধ হয়ে গেল।’
সম্ভবনার যমজ সন্তান হবে বলে আশা করে স্বামী অবিনাশ জানান, ‘এই যাত্রা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। এটা তার জন্য খুবই বেদনাদায়ক ছিল। তাকে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার ইনজেকশন দেওয়া হয়। আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি এবং মানসিক, শারীরিক এবং আর্থিকভাবে বিনিয়োগ করেছি। ডাক্তাররা রিপোর্ট দেখে অবাক হয়ে ভাবলেন হয়তো আমাদের যমজ সন্তান হবে। আমরা শুধু গর্ভবতী হওয়ার আশা করছিলাম এবং ডাক্তার যমজ সন্তানের কথা বলছিলেন।’
সম্ভাবনা-অবিনাশের বিয়ে হয় ২০১৬ সালে। ৮ বছর বিবাহিত জীবনে প্রথম চারটি অসফল আইভিএফ প্রচেষ্টার পর প্রথমবার সম্ভাবনার গর্ভপাত ঘটে। যার ফলে এই দম্পতি একাধিকবার সন্তান হারানোর দুঃখ পেয়েছেন।




অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
প্রধান উপদেষ্টা : আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন
পরিচালক, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠাতা, আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন সমাজ কল্যাণ ট্রাস্ট।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
Design and developed by Web Nest