অফিস সহকারী সাইফুল ইসলামের দৌরাত্ম্য অতিষ্ট, দেখার কেউ নেই!

প্রকাশিত: ৭:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০২৪

অফিস সহকারী সাইফুল ইসলামের দৌরাত্ম্য অতিষ্ট, দেখার কেউ নেই!

নিউজ ডেস্ক : সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের অফিস সহকারী সাইফুল ইসলামের দৌরাত্মে অতিষ্ট সমবায় সমিতির সদস্য ও এলাকর মানুষ। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করলেও অফিসের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। তার কাছে অসহায় কর্মকর্তারাও। বরিশাল অঞ্চলে বাড়ি হওয়ার সুবাদে অফিস সহকারী সাইফুল ইসলাম এক সময় জাহাঙ্গীর কবির নানকের লোক বললেও এখন নাজিম উদ্দিন আলমের নামে দাপট দেখাচ্ছেন।

 

একাধিকবার বদলীর অর্ডার হলেও তদবির করে বদলীর আদেশ স্থগিত করেছেন। বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ২০২৩ সালে সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে বদলী হলেও কোম্পানীগঞ্জ থেকে গিয়ে দু একদিন অফিস করেই ফের কোম্পানীগঞ্জে চলে আসেন।
গত ২৮ নভেম্বর কোম্পানীগঞ্জের ১২ টি সমবায় সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক বরাবর বিরুদ্ধে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

 

লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সমবায় কার্যালয়ে ১২ বছর যাবৎ মো. সাইফুল ইসলাম কর্মরত আছেন। দীর্ঘদিন এক এলাকায় থাকায় এলাকাভিত্তিক সিন্ডিকেট তৈরি করেন। তার কথামতো আর্থিক চাহিদা পূরণ না করলে সমিতির কার্যক্রম স্থগিত রাখার হুমকি দেন। এছাড়া ছোট বড় যে কোনো জলমহাল টেন্ডার নিতেও বাঁধা প্রদান করেন। এমনকি সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্পের নামে প্রতি বছর মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন সাইফুল। তার এমন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কথা বললে সমিতি বাতিলের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না।

 

স্থানীয়রা জানান, ইতোমধ্যে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় তিনি বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন। এক সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের শেল্টারে চললেও এখন বিএনপি নেতাদের খুশি করে অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

\

বিভিন্ন সমিতির সদস্যরা বলেন, এই অফিস সহকারী সাইফুল এলাকাকে তার নিজের রাজ্য মনে করে সব করে যাচ্ছেন। নিজে অফিস সহকারী হলেও কর্মকর্তাদের মতো সব সময় আচরণ করেন। তার যন্ত্রনায় গরীব, অসহায়, মেহনতী মানুষের জীবন জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

 

এ ব্যাপারে মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি দুইদিন কোম্পানীগঞ্জ এবং তিনদিন সিলেট বিভাগীয় অফিসে কাজ করি। আমার বিরুদ্ধে কে বা কারা অভিযোগ দিয়েছে জানিনা।

 

সাইফুল ইসলাম বলেন আমার বিরুদ্ধে কিছু লোক কাজ করছে। তিনি তার দেখা করে নিউজ করার পরামর্শ দেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আক্তার হোসেন বলেন, সে কোম্পানীগঞ্জে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছে সত্য তবে, এখন সিলেট বিভাগীয় অফিসে আছে, দুইদিন কোম্পানীগঞ্জ এসে কাজ করে দিয়ে যায়। কোম্পানীগঞ্জে লোক না থাকায় স্যার তাকে এখানে দিয়েছেন। তিনি নিউজ করার আগে তার অফিসে গিয়ে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানান।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন