বিশ্বনাথ আলিয়া মাদ্রাসায় সংঘর্ষ, আহত ৩০

প্রকাশিত: ১০:৫১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০২৪

বিশ্বনাথ আলিয়া মাদ্রাসায় সংঘর্ষ, আহত ৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক : দু’দফা ছুটি কাটিয়ে বিশ্বনাথ দারুল উলুম ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নোমান আহমদ দায়িত্ব গ্রহণ করতে গেলে তাকে অপসারণের দাবিতে সোচ্চার প্রতিবেশী গ্রামের একটি পক্ষের সাথে মাদ্রাসার ছাত্রদের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

৫ আগস্টের পর সিলেটের বিশ্বনাথ দারুল উলুম ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নোমান আহমদ অপসারণের দাবিতে মাদরাসার প্রতিবেশী শরিষপুর গ্রামের একটি পক্ষ সোচ্চার হয়। সেই দ্বন্দ্বের জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষ অধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীদের উপর দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালালে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ ঘটনায় দই পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

মাদ্রাসার ফাজিল প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইসলাম উদ্দিন জানান, প্রিন্সিপাল হুজুর ছুটি কাটিয়ে নিজ পদের দায়িত্ব গ্রহণ করতে গেলে বহিরাগতরা মাদ্রাসায় প্রবেশ করে হামলা করে। তাদের হামলায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আব্দুল সামাদ, গিয়াস উদ্দিন, আউয়াল হোসেন পারভেজ, মিনহাজ উদ্দিন, আবিদ উদ্দিন ও মো. শাহজাহানসহ আরও ১০/১৫ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে অধ্যক্ষ মাদ্রাসায় যাওয়ার পূর্বে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজিম উদ্দীন শিক্ষকদের হাজিরা খাতা নিয়ে মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে যান।

 

শরিষপুর গ্রামের আব্দুল হান্নান জানান, তদন্ত শেষ হওয়ার পূর্বে যাতে অধ্যক্ষ দায়িত্ব গ্রহণ না করতে পারেন, আমরা সেই প্রতিবাদ জানিয়েছি। ছাত্ররাই আমাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে।

 

এ বিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনকারী মাওলানা নাজিম উদ্দিন বলেন, ছুটি শেষে মাওলানা নোমান আহমদ জোরপূর্বক মাদ্রাসায় ঢুকে দায়িত্ব নিতে চাইলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে ছুটি শেষে যোগদান কীভাবে জোরপূর্বক হয়— এ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাৎক্ষণিকভাবে বৈঠক করেছেন।

 

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নোমান আহমদ বলেন, আমার ছুটি শেষ হলে যোগদান করতে গেলে মাওলানা নাজিম উদ্দীন শরিষপুররে লোকজন নিয়ে মাদ্রাসায় হামলা করেন। তিনি প্রথমে মাদ্রাসা তালাবদ্ধ করে হাজিরা খাতা নিয়ে যান। যাতে আমি যোগদান করতে না পারি। তিনি চাইছেন মাদ্রাসায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছেন।

 

বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) রুবেল মিয়া বলেন, দু’দফা ছুটি শেষে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নোমান আহমদ মাদ্রাসায় যোগদান করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

 

বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুনন্দা রায় বলেন, ঘটনার সাথে সাথেই উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এতে সিদ্ধান্ত হয়েছে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মাদ্রাসায় ক্লাস চলবে, তবে এ সময় মাদ্রাসায় কোন বহিরাগত প্রবেশ করে মাদ্রাসার পরিবেশ নষ্ট করতে পারবেন না। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নোমান আহমদ ছুটিতে থাকবেন।

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন