বিশ্ব মান দিবসে সেবাদানকারী ও সেবা গ্রহণকারী উভয়কে মানের বিষয়ে আন্তরিক হতে হবে : দেবজিৎ সিংহ

প্রকাশিত: ১:১৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :  সারাদেশের মতো বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সিলেটেও যথাযথ মর্যদায় দিবসটি পালিত হয়েছে। ৫৩ তম “বিশ্ব মান দিবস” উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার এই প্রতিপাদ্যের উপর গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআই, সিলেট এর যৌথ উদ্যোগে এ বছরের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে মান।’
গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহ বলেছেন, সেবাদানকারী ও সেবা গ্রহণকারী উভয়কে মানের বিষয়ে আন্তরিক হতে হবে। টেকসই উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক মান অনুসরনে আন্তরিক হয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান বিএসটিআইকে তিনি ১৯৭৪ সালে আন্তর্জাতিক মান সংস্থা আইএসও-এর সদস্য পদ এনে দেন। বঙ্গবন্ধুর লালায়িত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ঘাতকরা পুরণ করতে না দিলেও তাঁরই সুযোগ্র কন্যা যার অকুতোভয়, সাহসী ও দুরদর্শি বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে; এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে রোড ম্যাপ অনুযাযী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও টেকসই সোনার বাংলা গড়তে পণ্য-সেবার মান আন্তর্জাতিক অনুসরণ এবং মান বজায় রেখে রপ্তানি বাণিজ্যের মাধ্যমে দেশকে উন্নয়নের দিকে ধাবিত করতে হবে।

 

মান দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়ের তিনি আরও বলেন, “সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই বিশ্ব বিনির্মাণে-মান” পরিবেশ রক্ষা করে শিল্পায়ন ও শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের মান আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করলে শিল্প উদ্যোক্তা ও ভোক্তা উভয়েই লাভোবান হবেন এবং পৃথিবী সুন্দর বাসযোগ্য স্থানে পরিনত হবে।

 

বিএসটিআই সিলেট এর উপপরিচালক, প্রকৌ: মৃনাল কান্তি বিশ্বাস তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বিশ্ব মান দিবসের ইতিহাস, মান দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়ক তাৎপর্য, বিএসটিআই’র কার্যক্রম, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএসটিআই’র গ্রহণযোগ্যতা, পণ্য ও সেবার মান বাস্তবায়নে সরকারী পদক্ষেপ এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা ও সুশাসন নিশ্চিতে বিএসটিআই’র বিভিন্ন কার্যক্রমের উপর আলোকপাত করে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশিজনের সহযোগিতা, গঠনমূলক পরামর্শ ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জাতীয় মান সংস্থা বিএসটিআই তার অভিষ্ঠ লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

সভাপতির বক্তব্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান বলেন, সিলেট স্টেকহোল্ডারদের বিএসটিআই’র প্রণীত মান যথাযথভাবে অনুসরণ করে সুস্থসবল জাতি গঠনে সহযোগিতার আহবান জানান এবং সভায় সংযুক্ত সকলকে জানান বিএসটিআই’র সীমিত জনবল ও অফিস দ্বারা কাঙ্খিত মাত্রায় শতভাগ সেবা প্রদান না করতে পারলেও প্রতিষ্ঠানের জনবলের সেবামুখি আন্তরিকতা ও সেবার বিষয়ে বিরুপ কোনো মন্তব্য পাওয়া যাযনা। বর্তমান সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার বিএসটিআই’র বেশকিছু উন্নয়ন সাধন করেছে এবং সারা দেশে বিএসটিআই’র সেবা প্রাপ্তি সহজ করার জন্য প্রয়োজনীয় জনবলসহ লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।

 

তিনি আর বলেন, আশা করা যায় অচিরেই বিএসটিআই’র সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্দি পাবে এবং এর স্টেকহোল্ডারগণ আরো বেশি উপকৃত হবে। সভাং সংযুক্ত সকলকে ধৈর্য সহকারে আলোচনা শুনার জন্য এবং গঠনমূলক আলোচনা করে সম্মিলিত উদ্যোগে দেশকে এগিয়ে নিযে টেকসই পৃথিবী বিনির্মাণে অবদান রাখার জন্য উদাত্ত আহবান জানিয়ে চেন ।

 

আলোচনা সভায় দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি তাহমিন আহমদ, ক্যাব’র সভাপতি মোঃ জামিল চৌধুরী, উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, সিলেট’র সভাপতি স্বর্ণলতা রায়সহ বিএসটিআই বিভাগীয় অফিস, সিলেটের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।