প্রকাশিত: ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক : সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যা মামলার আসামি সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিনকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিকরা।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার কার্যালয়ের সামনে প্রায় দেড় ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে সিলেটের সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
তারা বলেন, পুলিশের গুলিতে সাংবাদিক নিহতের দেশের ইতিহাসে প্রথম। এ ঘটনায় আমরা বিস্মিত ও গভীর শোকাহত এবং ক্ষুব্ধ। তুরাব হত্যার ঘটনায় ১৯ আগস্ট আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই। উপরন্তু মামলার ৬ নং আসামি ওসি মঈন উদ্দিনকে হবিগঞ্জ তার গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করা হয়। কিন্তু তাকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক।
বক্তারা বলেন, একটি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও গ্রেফতারের পরদিন তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এতে আমরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছি। সে সঙ্গে তুরাব হত্যায় জড়িত এসএমপি’র সাবেক উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ ও অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) গোলাম কাওসার দস্তগীরসহ সব আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার জোর দাবি জানান। তা না হলে কঠোর কর্মসূচির ডাক দিতে বাধ্য হবেন সিলেটের সাংবাদিকরা।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান, স্বরাষ্ট্র ও উপদেষ্টা আইন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
নিহত এটিএম তুরাব দৈনিক নয়াদিগন্তের সিলেট প্রতিনিধি ও দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন।
গত ১৯ জুলাই নগরীর বন্দরবাজারে বিএনপির মিছিল চলার সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের গুলিতে সাংবাদিক এটি এম তুরাব নিহত হন। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার ৬ নং আসামি সিলেটের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন।
সিলেট বিভাগীয় ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, সিলেট প্রেসক্লাব, ইমজা, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের নেতারাসহ সিলেটে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য- গত ২৩ সেপ্টেম্বর ভোররাতে হবিগঞ্জের মাধবপুরের গোপীনাথপুর মাস্টারবাড়ীতে মঈন উদ্দিনের বাড়িতে অবৈধ অস্ত্রের মজুদ রয়েছে বলে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আটকের পর মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরদিন সোমবার দুপুরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে অভিযানকালে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়-ওসি মঈন উদ্দিনের নামে একটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্রের বিষয়ে বিজিবির একটি দল তার বাড়িতে গিয়েছিল ও বিজিবি মঈনকে থানায় নিয়ে আসে। লাইসেন্স নিলেও মঈন কিন্তু আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয় করেননি। তার বিরুদ্ধে কোনো গ্রেফতারী পরোয়ানাও নেই। আবার কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করতে হলে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি নিতে হয়। ওসি মঈনের বিষয়ে এরকম কিছু না থাকায় তিনি স্বাভাবিকভাবেই থানা থেকে চলে যান।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest